লিবিয়ায় মুক্তিপণ বাণিজ্যে বাংলাদেশি

যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়ায় অপহৃত ছয় বাংলাদেশিকে উদ্ধার করেছে দেশটির একটি বিশেষ বাহিনী। আর এ অপহরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের একজনও বাংলাদেশি, নাম মোহাম্মদ হোসাইন। গ্রেপ্তার অপরজন লিবিয়ার নাগরিক।

গত ২৬ ডিসেম্বর লিবিয়ার ত্রিপলি শহরের আবু সেলিম এলাকা থেকে অপহৃতদের উদ্ধার করা হয়ে বলে আজ রোববার প্রবাসী মন্ত্রণালয় সূত্র নিশ্চিত করেছে। যাদের অপহরণ করা হয়েছিল তারা হলেন- নোয়াখালীর মো. নাসির উদ্দিন, পারভেজ আহমেদ, মোহাম্মদ মিরাজ ও আল আমিন সরোয়ার এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোহাম্মদ এনায়েত ও কামারুজ্জামান। তারা সবাই বর্তমানে বাংলাদেশি দূতাবাসে নিরাপদে আছেন।

২৬ ডিসেম্বরের সপ্তাহ খানেকে আগে তাদের অপহরণ করা হয় বলে জানা গেছে।

উদ্ধার হওয়াদের বরাত দিয়ে প্রবাসী মন্ত্রণালয় সূত্রটি জানায়, এক লিবীয় নাগরিক ২৬ ডিসেম্বরের এক সপ্তাহ আগে ত্রিপলির আবু সেলিম এলাকা থেকে অপহৃতদের সুক আল জুমা এলাকায় নিয়ে যাওয়ার পর মোহাম্মদ হোসাইনের বাসায় বন্দী করে রাখেন। পরে তাদের অপহরণ করা হয়েছে বলে মোহাম্মদ হোসাইন নিজেই জানান। পরে গ্রেপ্তার হওয়া লিবীয় নাগরিক জনপ্রতি ১০ হাজার লিবিয়ান দিনার মুক্তিপণ দাবি করেন। আর মুক্তিপণ না দিলে তাদের মেরে ফেলার হুমকি দেন। একপর্যায়ে অপহরণকারীরা প্রতিজনের জন্য ৪ হাজার লিবিয়ান দিনার মুক্তিপণের বিনিময়ে তাদের ছেড়ে দিতে সম্মত হন।

এরপর অপহৃত ছয় বাংলাদেশি মোহাম্মদ হোসাইনের মাধ্যমে মুক্তিপণের জন্য লিবিয়ায় তাদের এক বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেই বন্ধু বিষয়টি লিবিয়ার একটি বিশেষ বাহিনীকে জানালে ওই বাহিনী ব্যবস্থা নেয়।

এ বিষয়ে ত্রিপলির সুক আল জুমা থানায় একটি মামলাও হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা শিকার করে মন্ত্রণালয়ের এক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলেন, লিবিয়ার রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আইন-শৃঙ্খলার অবনতির কারণে এ ধরনের ঘটনা প্রতিনিয়ত সংগঠিত হচ্ছে। প্রায়ই বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের কর্মীরা অপহরণ, ছিনতাই ও ডাকাতির শিকার হচ্ছেন। বর্তমানে এই ধরনের ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা এসব বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করে দূতাবাস থেকে গত ১২ নভেম্বর লিবিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।

তবে লিবিয়ায় একক বৈধ সরকার না হওয়া পর্যন্তু এসব বিষয়ের সমাধান নয় বলেই মনে করেন তিনি।



মন্তব্য চালু নেই