লিবিয়াকে অস্ত্র দিতে সম্মত যুক্তরাষ্ট্রসহ ২৫ দেশ

চরমপন্থি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে লিবীয় সরকারকে অস্ত্র সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ ২৫টি দেশ। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি এবং ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আমন্ত্রণে ভিয়েনায় এক বৈঠক শেষে সোমবার এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

লিবিয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীগুলোর কাছ থেকে অস্ত্র দূরে রাখতে জাতিসংঘ দেশটিতে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, লিবিয়ার ওপর থেকে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়ার বিষয়ে বিশ্বশক্তি কাজ করবে।

কেরি বলেন, লিবিয়ার জন্য আইএস নতুন হুমকি এবং একে ঠেকানো জরুরি।

গত মাসে লিবিয়ার সরকার সতর্ক করে দিয়ে বলেছিল, আইএসকে ঠেকানো না গেল এরা লিবিয়ার অধিকাংশ এলাকা দখল করে নিতে পারে।

জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী ফয়েজ সেরাজ বলেছেন, দেশটির সামনে এখন বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে এবং আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাইরের সাহায্য প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের বিষয়ে কথা বলছি না। আমাদের তরুণদের আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ, সেনাদের অস্ত্র সরবরাহ ও প্রশিক্ষণ সহযোগিতার বিষয়ে কথা বলছি।’

সোমবার বৈঠকের পর জন কেরি বলেছেন, ‘জিএনএ-ই একমাত্র কর্তৃপক্ষ, যারা জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রতিনিধিত্বশীল ও স্বীকৃত কর্তৃপক্ষের আওতায় নিয়ে আসার এটাই একমাত্র পন্থা।’

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের অক্টোবরে স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির ক্ষমতাচ্যুতির পর লিবিয়ার বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠী দেশটির বিভিন্ন অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে।



মন্তব্য চালু নেই