লিচুর স্বাস্থ্য উপকারিতা

গ্রীষ্মকালীন সুস্বাদু ফলগুলোর মধ্যে লিচু অন্যতম। এটি শুধু খেতেই সুস্বাদু নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর। লিচুতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, বিটা ক্যারোটিন এবং নানা পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে। রসালো এই ফলটি কিন্তু দেহের লৌহ এবং কপারেরও গুরুত্বপূর্ণ উৎস।

এ দুটো উপাদান দেহের রক্তের লাল কোষ গঠনে সহায়ক। তাই পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই ফলটিকে দেহের পাওয়ার হাউজও বলা হয়। লিচু শুধু স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভালো কাজ করে না, একইসঙ্গে তারুণ্য ধরে রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

এগুলো ছাড়াও লিচুর আরও নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এগুলো হলো-

হার্ট সুস্থ রাখে

লিচুতে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন ও ওলিজোনল থাকে, যা হৃদরোগীদের হার্ট সুস্থ রাখে। এতে বিদ্যমান কপার ও পটাসিয়াম এর মত খনিজ আমাদের হার্টের সুরক্ষা প্রদান করে। সেইসঙ্গে স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমায় লিচু। তাই সুস্থ থাকতে নিয়মিত লিচু খাওয়ার বিকল্প নেই।

ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করে

ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে লিচু। একইসঙ্গে এই ফলটি টিউমার প্রতিরোধেও সাহায্য করে।

ব্যথা কমায়

গলার ঠাণ্ডা সমস্যা ও ব্যথা কমাতে লিচুর জুড়ি মেলা ভার। আবার অ্যাজমা রোগে শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যা দূর করতেও ভূমিকা রাখে লিচু।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে

লিচু দেহ থেকে বিষাক্ত উপাদান বের করে দেয়। এর ফলে সহজেই অকাল বার্ধক্য, হজম সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করা সম্ভব হয়। আবার শরীরে পানি শূন্যতা পূরণেও ভূমিকা রাখে রসালো এই ফল।

মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটায়

লিচু একটি লেবু জাতীয় ফলের মত। এতে লেবুর মত প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল শরীরের সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। শরীরের প্রদাহজনিত ময়লা পরিষ্কার করে। মস্তিষ্ক বিকাশে সহায়তা করে।

ত্বকের সুরক্ষা দেয়

লিচুতে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম রয়েছে। এরা ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা ধরে রেখে ত্বকের যৌবন ধরে রাখে। শুধু তাই নয়, উপাদানগুলো মুখের শুষ্কভাব দূর করতে, ব্রণের উপদ্রব কমায়, কপালের ভাজ পরা, ঠোঁটের চারপাশের বলি রেখা, গলা এবং বুকের পিগমেন্টেশন দূর করতেও ভূমিকা রাখে।



মন্তব্য চালু নেই