লালমনিরহাটে ক্লিনিকে প্রসূতি মায়ের মৃত্যু

শুক্রবার বিকালে লালমনিরহাট শহরের সাপ্টানা রোডে লালমনি ক্লিনিকে সিজার করতে গিয়ে কৃষ্ণা রানী নামের এক প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হয়েছে ওপারেশন থিয়েটার (ওটি) রুমে। মা মারা গেলেও জীবিত রয়েছে তার প্রসবকৃত কন্যা সন্তানটি। তবে তার মৃত্যুর খবর আধা ঘন্টা পর পরিবারের লোকজন দেয়া হয়েছে বলে পরিবারের লোকজন অভিযোগ করে বলেন ক্লিনিক মালিক ডাঃ ভোলা নাথ ভট্টাচার্য্য নিজে অপারেশন না করে তার অনভিজ্ঞ কর্মচারী দিয়ে অপারেশন করায় প্রসূুতি মায়ের মৃত্যু হয়েছে।

নিহত প্রসূতি মা হলেন লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার পলাশী গ্রামের বিশাদ চন্দ্র রায়ের স্ত্রী কৃষ্ণা রানী (২)। তারা বাবার বাড়ী একই উপজেলার কালিরহাট গ্রামে।

নিহত প্রসূুতি মা কৃষ্ণা রানীর বাবা চন্দ্রমোহন রায় অভিযোগ করে বলেন, ক্লিনিক মালিক ডাঃ ভোলানাখ নিজে অপারেশন না করে তার অনভিজ্ঞ কর্মচারী দ্বারা অপারেশনের মতো জটিল কাজ করায় তার মেয়ের মৃত্যু ওপি রুমে হয়ছ। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ক্লিনিক মালিক আধা ঘন্টা পর এ মৃত্যুও খবর জানায়। ”আমার মেয়ে খুবই স্বাভাবিক ছিল এবং সিজার করতে গিয়ে তার মৃত্যু হওয়ার মতো অবস্থা ছিলনা। অনভিজ্ঞ লোক দ্বারা অপারেশন না করলে হয়তো আমার মেয়ের অকাল মৃত্যু হতো না,” জানালেন চন্দ্রমোহন।

নিহত কৃষ্ণার স্বামী বিশাদ চন্দ্র রায় জানান, তার স্ত্রী কৃষ্ণা রানীর প্রসব ব্যথা উঠলে তারা লালমনি ক্লিনিকে নিয়ে আসেন এবং ক্লিনিক মালিক ডাঃ ভোলা নাথ সবকিছু দেখে তাকে ভর্তি করান আর সিজার করতে পরামর্শ দেন। ”ওটি রুমে ডাক্তার নিজে উপস্থিত না থেকে তার অনভিজ্ঞ কর্মচারী দ্বারা অপারেশ করায় ওটি রুমে আমার স্ত্রী কৃষ্ণা রানীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে,” বিশাদ চন্দ্র এমনটি অভিযোগ করে বলেন তিনি এ মৃত্যুর ঘটনায় ন্যায্য বিচার পেতে আদালতে যাবেন।

তবে ক্লিনিক মালিক ডাঃ ভোলানাথ ভট্টাচার্য্য সবকিছু অস্বীকার করে বলেন তিনি নিজেই এ অপারেশন করেছিলেন। প্রসূতি কৃষ্ণা রানীর অবস্থা তেমন ভালো ছিলনা, এবং এর আগে তার একটি সন্তান গর্ভে মারা গিয়েছিল, ডাক্তার এমনটি জানিয়ে বলেন তিনি দক্ষতা আর সফলতার সাথে লালমনিরহাট রেলওয়ে হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন দীর্ঘদিন থেকে।



মন্তব্য চালু নেই