লতিফকে মুক্তি দিলে লাগাতার হরতাল: হেফাজত

কারাগারে আটক সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে মুক্তি না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেছে, তাকে মুক্তি দিলে লাগাতার হরতালের ডাক দেয়া হবে।

শুক্রবার এক যুক্ত বিবৃতিতে হেফাজতের নেতারা এ হুঁশিয়ারি করেন।

বিবৃতিতে লতিফ সিদ্দিকীকে ‘ধর্মদ্রোহী মুরতাদ’ অভিহিত করে বলা হয়, “বর্তমান সরকারের সাবেক মন্ত্রী আবদুর লতিফ সিদ্দিকী ইসলামের ফরজ বিধান হজ, তাবলিগ জামাত, সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মহামানব হজরত মুহাম্মদ (স.)কে নিয়ে যে ঘৃণ্য বক্তব্য দিয়েছে, তা সারা দুনিয়ার মুসলমানের অন্তরে আঘাত দিয়েছে। তাই তার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ছাড়া বিকল্প নেই।” ইতিমধ্যে হেফাজতসহ দেশের সব ইসলাম ও ডানপন্থী দল লতিফসহ সব নাস্তিকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের আইন সংসদে পাস করে তা বাস্তবায়নরে জন্য দাবি জানিয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।

হেফাজতের নেতারা বলেন, “আমরা অবগত আছি যে, ১৯ জানুয়ারি শুরু হওয়া আগামী সংসদ অধিবেশনে যোগ দিতে জাতীয় সংসদ সচিবালয় থেকে ধর্মদ্রোহী মুরতাদ লতিফকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, এতে হক্কানি রব্বানি ওলামায়ে কেরামের পাশাপাশি দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত।”

সরকারকে হুঁশিয়ার করে হেফাজতের নেতারা বলেন, “ধর্মদ্রোহী মুরতাদ লতিফকে যেদিন মুক্তি দিবে, সেদিন থেকে লাগাতার হরতালের ঘোষণা দেয়া হবে।”

দেশের বর্তমান অস্থির পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে হেফাজতের নেতারা বর্তমান রাজনৈতিক সংকট মোকাবেলায় অবিলম্বে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, “অন্যথায় দেশের পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে।”

বিবৃতিতে ফ্রান্সের বিতর্কিত ম্যাগাজিন ‘শার্লি এবদোতে’ মহানবি (স.)কে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

বিবৃতিদাতারা হলেন, নায়েবে আমির আল্লামা শামছুল আলম, আল্লামা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপূর, আল্লামা মুফতি মুজাফফর আহমদ, আল্লামা ইদ্রীস, আল্লামা সালাউদ্দীন নানুপুরী, আল্লামা হাফেজ তাজুল ইসলাম, মহাসচিব আল্লামা হাফেজ জুনাঈদ বাবুনগরী যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা লোকমান হাকিম, আল্লামা মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা মঈনুদ্দীন রূহী, মাওলানা কাতেব ইলয়াছ ওসমানী, মাওলানা হাজি মোজাম্মেল হক্ব, মাওলানা আ ন ম আহমদ উল্লাহ, মাওলানা ইউনুছ প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই