র‍্যাগিং এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে চবি ছাত্রলীগ

নতুন কমিটি ঘোষণার পর থেকেই চবি ছাত্রলীগ নিজ সংগঠনের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য এবং সাধারন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রলীগ সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ইতিবাচক ধারণা দেয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে।এর অংশ হিসেবে আগামী ১লা নভেম্বর থেকে অনুষ্ঠিতব্য ২০১৫-২০১৬ সেশনের ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে গত ২৬ অক্টোবর চাকসু ভবনে চবি ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলমগীর টিপুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সুজনের সঞ্চালনায় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় র‍্যাগিং বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন ছাত্রলীগের করণীয় নির্ধারণ করা হয়। ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে চবি ছাত্রলীগ চারটি উপ-কমিটি গঠন করেছে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের প্রতি বছর র‍্যাগিং এর শিকার হতে হয়। পরীক্ষার্থীদের এবং তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে যেন কেউ বাড়তি ভাড়া আদায় করে সি এন জি এবং তরী। কখনো কখনো তরির হেল্পাররা দুর্ব্যবহার করে। ভর্তি পরীক্ষার সময় খাবারের দোকান গুলোতে বাড়তি দাম দিয়ে খাবার কিনতে হয়। এন্টি র‍্যাগিং পরিবেশ গড়ে তোলার পাশাপাশি উল্লেখিত সকল বিষয় ও অনিয়মে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের সহযোগিতায় সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে থাকবে “শৃঙ্খলা কমিটি”। হলে অবস্থানকারী ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের থাকা-খাওয়া সহ সার্বিক সহযোগিতার জন্য গঠন করা হয়েছে “হল তদারকি কমিটি। ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে চবি ছাত্রলীগের প্রচার ও প্রকাশনার জন্য গঠন করা হয়েছে “প্রচার ও প্রকাশনা কমিটি”। সকল ধরণের সার্বক্ষণিক সহযোগিতায় গঠন করা হয়েছে “হেল্পডেস্ক”, যেখান থেকে পরীক্ষার্থীরা সিটবণ্টন, পরীক্ষার ফলাফল, দিক নির্দেশনা সহ বিভিন্ন ধরণের সুবিধা নিতে পারবেন। এছাড়াও, সভায় র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে চবি ছাত্রলীগ জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে এবং ভবিষ্যতে র‍্যাগিং প্রতিরোধে কর্মসূচী ঘোষণা করবে।

উল্লেখ্য যে, এবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি অনুষদে ৪ হাজার ৬৫৩টি আসনের বিপরীতে মোট ২ লাখ ১১ হাজার ৯৫২টি আবেদন জমা পড়েছে। যেখানে, গত বছর ১ লাখ ৭৯ হাজার ৫৭৩টি আবেদন জমা পড়েছিল।



মন্তব্য চালু নেই