রোয়ানুর আতঙ্কে উপকূলবাসী : ফিরছে নিরাপদে স্থানে

রোয়ানুর প্রভাবে কুয়াকাটা সংলগ্ন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। বঙ্গোপসাগর উত্তাল হওয়ায় স্থানীয় নদ-নদীগুলো ক্রমশই পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত।

এদিকে অবিরাম ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পটুয়াখালী-বরগুনা পৌর শহরসহ উপজেলাগুলোর বেশকিছু এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে রবিশস্য নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন কৃষকরা।

ইলিশ শিকারে যাওয়া মাছ ধরার ট্রলারগুলো তীরে ফিরতে শুরু করেছে। শত-শত ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হচ্ছে। রোয়ানুর প্রভাবে পটুয়াখালীতে মানুষের মধ্যে অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে। শুক্রবার সকাল থেকে পটুয়াখালী-বরগুনার গোটা উপকূলজুড়ে দমকা হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

কলাপাড়া আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, পায়রা বন্দরসহ পটুয়াখালী-বরগুনার উপকূলীয় এলাকায় চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ঘুর্ণিঝড় রোয়ানু বৃহস্পতিবার পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২৭৫ কিলোমিটার দূরে অন্ধ প্রদেশের গভীর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছিল। কিন্তু শুক্রবার পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে তার দূরত্ব কমেছে ২২০ কিলোমিটার। সে ক্ষেত্রে রোয়ানু ক্রমশই প্রকট আকার ধারণ করে পায়রা বন্দরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তবে যে কোনো সময় আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটতে পারে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১০৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক একে এম শামিমুল হক সিদ্দিকী ও বরগুনা জেলা প্রশাসক ড. মো. বশিরুল আলম দুর্যোগ মোকাবিলা জন্য প্রাথমিকভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে জরুরি সভা করেছেন। সেখানে সম্ভব্য ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

পটুয়াখালী নৌ-বন্দর উপ-পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক জানান, পটুয়াখালীর অভ্যন্তরীণ নৌপথে দুই নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ ১২টি নৌরুটে একতলা লঞ্চ (৬৫ ফুটের নিচের লঞ্চ) চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই