রোমাঞ্চকর যে কাজগুলো বুদ্ধিমান শিশুরা করে

আমেরিকান লেখক হান্টার এস থম্পসন এর মতে, “অদ্ভুত আচরণ স্মার্ট শিশুদের মধ্যে স্বাভাবিক”। বাবা-মায়েরা নিশ্চয়ই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবেন এটা জানার পর। এই শিশুরা হয়তো সাধারণ শিশুদের মত সামাজিক নয়। অদ্ভুত ও গা ছমছমে কাজগুলো করলেও এই শিশুরা প্রীতিকর ও মিষ্টি হয়। বুদ্ধিমান শিশুদের এমনই কিছু রোমাঞ্চকর কাজের কথাই জেনে নিই চলুন।

১। পুরো বাক্য বলতে পারে কথা বলা শিখেই

কোন কোন শিশু কথা বলা শিখার পরই খুব দ্রুত বড় একটি বাক্য বলতে পারে। তারা তাদের অনুভূতি ও চিন্তার কথাও ব্যক্ত করতে পারে যা শুনে অবাক হতে হয়!

২। মনে রাখতে পারে

সাধারণত মানুষ বড় হতে থাকলে আস্তে আস্তে ছোট বেলার স্মৃতি ভুলে যায়। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বুদ্ধিমান শিশুরা খুব ছোট বেলার কথাও মনে রাখতে পারে। তাদের স্মরণশক্তি খুব ভালো থাকে।

৩। তারা খুব তাড়াতাড়ি পড়তে শুরু করে

সে বয়সে শিশুরা পশুপাখির নাম পড়তে শেখে তখন তারা অর্থাৎ স্মার্ট শিশুরা বিভিন্ন শব্দ বলতে পারে যা তাদেরকে শেখানোও হয়নি। তারা খুব তাড়াতাড়ি বই পড়তে শেখে। এমনকি অনেকেই নিজে নিজেই লিখতেও শিখে যায়।

৪। স্বপ্নের কথা মনে করতে পারে

অনেকেই রাতে কি স্বপ্ন দেখেছেন তা সকালে মনে করতে পারেন না। কিন্তু অতি মাত্রায় বুদ্ধিমান শিশুরা রাতে কি স্বপ্ন দেখেছে তা বলতে পারে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে। যা শুনলে অনেকেই ভয় পান।

৫। শেখার ক্ষমতা বেশি

বুদ্ধিমান শিশুদের শেখার ক্ষমতা চমৎকার হয়। তারা অনেক অল্প বয়সেই এমন অনেক কিছু শিখে যায় যা তাদের বয়সি শিশুদের জন্য অস্বাভাবিক মনে হতে পারে।

৬। তাদের খেলনাগুলোকে সুন্দরভাবে গুছিয়ে রাখে

বুদ্ধিমান শিশুরা তাদের খেলনাগুলোকে বিভিন্ন অনুক্রমে সাজিয়ে রাখে। তারা তাদের খেলনাগুলোকে ছোট থেকে বড়, লম্বা থেকে খাটো বা গাঁড় রঙের থেকে হালকা রঙের ইত্যাদি অনুক্রমে সাজিয়ে রাখে যা দেখলে বিস্মিত না হয়ে উপায় থাকেনা!

৭। তাদের কল্পনাশক্তি প্রখর হয়

বুদ্ধিমান শিশুরা এমন সব বিষয় কল্পনা করে যা একজন বয়স্ক মানুষের পক্ষেও কল্পনা করা কঠিন। তাদের কল্পনা শক্তি অত্যন্ত প্রখর হয় বলেই তারা এটি চমৎকারভাবে করতে পারে।

বুদ্ধিমান শিশুদের মধ্যে আরো যে অদ্ভুত বিষয়গুলো দেখা যায় তা হল- ঘুমের মধ্যে হাঁটা, পোকা-মাকড় ভয় পায় না, অনেক বেশি প্রশ্ন করে, পোষা প্রাণীর যত্ন নেয়, নিজের ঘর গুছিয়ে রাখে ইত্যাদি।



মন্তব্য চালু নেই