রোগা হতে গিয়ে ডাক্তারি পরামর্শের ধার ধারছেন না অধিকাংশ মহিলাই!

অতিমাত্রায় ডায়েটের ফলে মারণ অ্যানোরেক্সিয়া তো ছিলই। সাম্প্রতিক গবেষণা রিপোর্ট শোনাচ্ছে মারণ ক্যানসারের সম্ভাবনাও। তবুও রোগা হতে গিয়ে ডাক্তারি পরামর্শের ধার ধারছেন না অধিকাংশ মহিলাই। সারাদিন প্রায় না খেয়েই কাটিয়ে দিচ্ছেন তাঁরা। এমনই এক মহিলার বাড়ি পৌছে গিয়েছিলাম আমরা। তাঁর খাদ্য তালিকায় চোখ রেখেছিলাম দিনভর।

মাথায় চেপেছে রোগা হওয়ার ভুত। ইচ্ছেমতো ডায়েটিং করছেন। ডাক্তারের পরামর্শ? থোড়াই কেয়ার। এই গৃহবধূর জীবনের মূল মন্ত্রই হল রূপসী হওয়া। রূপচর্চাতেই মনোনিবেশ। কিন্তু বেঁচে থাকতে তো একটা ব্যালান্সড ডায়েট দরকার। কোথায়? দেখুন তো আপনারাও খুঁজে পান কি না। কিন্তু খাবার? খেতে তো হবে কিছু। কিন্তু কিচ্ছু না। পরিষ্কার জানাচ্ছেন তিনি।

লাঞ্চের মেনু দেখলে চমকে উঠবেন। দেখুন। একটুখানি টক দই। না হলে দুপিস শশা। রূপচর্চা, মেক আপ সবই আছে। দিনভর নিজেকে সুন্দরী করে তোলার কী প্রয়াস! কিন্তু মুখে দিচ্ছেন একটুখানি মুড়ি আর চা। সারাদিন না হয় কাটল এভাবেই। মধু-লেবুর জল, টক দই, শশা, চা-মুড়িতেই প্রায় অর্ধেক দিন কাবার। ডিনারে নিশ্চয়ই একটু ভারী খাবার? সেগুড়ে বালি। মন্ত্র একটাই, স্লিম থাকতে হবে। রোগা হতে হবে।

একটু ভাতেভাত। যদি মাছ বা ডিম থাকে তাহলে ভাল। নাহলে অসুবিধে নেই। ডালের জলে মাখন দিয়ে। ব্যস। রোগা হতে দিনে মাত্র এটুকুই খাবার! ডাক্তারি পরামর্শ ছাড়া এই ডায়েট কি ঠিক? কোনও সমস্যাই দেখছেন না ওই গৃহবধূ। গবেষণা কী বলছে, তা শুনতে চান না। এভাবেই রোগা হবেন তিনি। হবেনই।



মন্তব্য চালু নেই