রেশম কোমল চুল হবে আপনারও

আপনার চুল খুব বেশি কোকড়া নয়, তবে ঝলমলে রেশম-কোমলও নয়। সুন্দর করে শ্যাম্পু করে বের হওয়ার পরেও কেমন যেন উসকো খুসকো ভাব থেকে যায়। পরিপাটি হয়ে বাইরে বের হলেই চুল এলোমেলো। তাছাড়া রুক্ষ্ম শুষ্ক এই আবাহাওয়াতে ধুলার কবলে পড়ে চুলের বারোটা বাজে খুব সহজে। তাই শখের সাজগোজটাও মাটি হওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। এমন বিরক্তিকর অনুভূতি থেকে রেহাই পেতে চুলকে করে নিন রেশম কোমল।

– বাজারে সব সময়ই কম বেশি লেবু পাওয়া যায়। তাই কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই লেবু দিয়ে আপনার চুল রেশম কোমল করতে পারেন। টকদই এর সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে পুরো চুলটাতে ভালো করে মেখে নিন। আধাঘণ্টা অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এবার পান খুশকিমুক্ত সিল্কি ও প্রাণবন্ত চুল। সপ্তাহে অন্তত দুই বার এই প্যাকটি চুলে ব্যবহার করতে পারেন, ভালো ফল পাবেন।

– তাজা নারিকেলের দুধের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন। তারপর এই মিশ্রণটিকে কয়েক ঘণ্টার জন্য ফ্রিজে সংরক্ষন করুন। একটি ঘন ক্রিমি লেয়ার দেখা যাবে পাত্রের উপরে। এই লেয়ারটা পুরো চুলে লাগিয়ে নিন। এবার ১৫ থেকে ২০ মিনিট ধরে চুলে গরম পানির ভাপ বা স্টিম নিন। সব শেষে ধুয়ে ফেলুন সমস্ত চুল। এভাবে নিয়মিত করতে থাকলে আপনি ধীরে ধীরে দেখবেন চুল সিল্কি হয়ে উঠেছে।

– ক্যাস্টর অয়েল মাথার ত্বকে ভালো ভাবে ম্যাসাজ করুন, তারপর চিরুনি দিয়ে চুল বরাবর আঁচড়াতে থাকুন। এবার উষ্ণ গরম পানিতে ভেজা তোয়ালে দিয়ে চুল জড়িয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা ধরে। এটা চুলকে অতিরিক্ত হিট থেকে সিল্কি করবে।

– দুটি কলার সঙ্গে দুই টেবিল চামচ মধু, টকদই এবং অলিভ অয়েল আর ১টি ডিমের সাদা অংশ মেশান। এই প্যাক পুরো চুলে লাগিয়ে মাথায় একটি শাওয়ার ক্যাপ পরে ফেলুন। তারপর ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এভাবেও আপনার চুল অনেকটা সিল্কি হবে।

– এক কাপ মুলতানি মাটির সাথে একটি ডিমের সাদা অংশ, দুই চামচ চালের গুঁড়ো আর পানি মেশান। মিশ্রণটি অনেক পাতলা হতে হবে যাতে সমস্ত চুলে লাগানো যায়। এবার আধা ঘণ্টা রাখুন আর মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াতে থাকুন। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার এটি করতে হবে। চুল সিল্কি করতে এই প্যাকের জুড়ি নেই।



মন্তব্য চালু নেই