রেলে নিরাপত্তা জোরদারে সিসি ক্যামেরা

রেলপথে নাশকতা প্রতিরোধে পশ্চিমাঞ্চল রেলের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নাশকতা প্রতিরোধে রাজশাহী স্টেশনে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। শুধু তাই না রাতে ট্রেনের বিশেষ নিরাপত্তার জন্য ট্রেন পাইলটিং করা হচ্ছে।

এ ছাড়াও স্টেশন ও আশেপাশের এলাকাগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ।

২০ দলীয় জোটের ডাকা হরতাল-অবরোধে দেশের বিভিন্ন স্থানে রেলপথে নাশকতার ফলে এর মধ্যে বেশ কয়েকটি বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে অনেক যাত্রী হতাহত হওয়ার পাশাপাশি নষ্ট হয়েছে যাত্রীদের মালামাল ও রেলের সম্পদ। এ কারণে রেল কর্তৃপক্ষ এ ব্যবস্থা নিয়েছে। শুধু পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েই নয় সারা দেশেই এ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

রাজশাহী রেলস্টেশনের সুপারেনটেনডেন্ট আব্দুল করিম জানান, রাজশাহী থেকে প্রতিদিন পাঁচটি রুটে ট্রেন চলাচল করে। এসব রুট হলো- ঢাকা, খুলনা, সৈয়দপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজবাড়ি। এসব গন্তব্যে প্রতিদিনই ১৬টি ট্রেন মোট ৩২ বার যাওয়া-আসা করে। এসব ট্রেনের মধ্যে ৮টি অন্তঃনগর। এসব যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে বাড়তি নিরাপত্তা নিতে হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে রাজশাহী স্টেশনে নাশকতা এড়াতে ১৬টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। শুধু তাই না অতিরিক্ত নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

এদিকে রাতে যেসব ট্রেন চলাচলা করছে তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে ট্রেন পাইলটিং (ট্রেনের আগে আরো একটি ইঞ্জিন পাঠানো) ব্যবস্থা চালু করা আছে। এ ছাড়াও বিশেষভাবে ট্রেনচালকদের সর্তক করে দেয়া হয়ে থাকে বিভিন্ন সময়। ট্রেনের নিরাপত্তার বিষয়ে প্রতিটি ট্রেনে গুরুত্বভেদে একজন উপপরিদর্শকসহ ১২ জনের একটি ফোর্স থাকে।
এ ছাড়াও রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ, বিজিবি সদস্যরাও রেলের নিরাপত্তার বিষয়ে বিশেষ লক্ষ্য রাখছে।

বিশ্ব ইজতেমা চলার কারণে রাজশাহী রুটে ট্রেন চলাচলে কিছুটা শিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। শনিবার রাতে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি ৩ ঘণ্টা দেরিতে রাত ২টায় রাজশাহী স্টেশন ছাড়ে।

শিডিউল বিপর্যয়ের বিষয়ে রেলস্টেশনের সুপারেনটেনডেন্ট আব্দুল করিম আরো জানান, বিশ্ব ইজতেমার কারণে প্রতি স্টেশনে ট্রেন কয়েক মিনিট পর ছাড়ছে। ইজতেমার যাত্রী উঠানামা করার জন্য এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ব ইজতেমা শেষ হয়ে গেলে শিডিউল বিপর্যয় কেটে যাবে বলে তিনি আসা করেন।



মন্তব্য চালু নেই