রেলসেতুর গার্ডারের আঘাতে নিহত ৩

ঢাকা থেকে বিশ্ব ইজতেমা শেষে ট্রেনের ছাদে চড়ে বাড়ি ফিরতে গিয়ে রেলসেতুর গার্ডারের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন তিন ব্যক্তি। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো পাঁচজন।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন মতেমুর রহমান (২৫), সাইদুর রহমান (২০) ও জিয়াউর রহমান (২৩)।

রোববার দিবাগত রাত ৪টার দিকে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার কৈডাঙ্গা রেলব্রিজের গার্ডারের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। চাটমোহর রেলস্টেশনে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তিনজনের মৃতদেহ নামানো হয়। আহতদের পরিচয় জানা যায়নি।

চাটমোহর রেলস্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মহিউল ইসলাম তিনজন নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তবে মৃতদেহগুলো কোথায় কারা নিয়ে গেছেন, সে বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান।

মহিউল ইসলাম জানান, ঢাকা থেকে নীলফামারীর উদ্দেশে যাচ্ছিল নীলসাগর এক্সপ্রেস নামের ট্রেনটি। বিশ্ব ইজতেমা ও অবরোধের কারণে প্রচুর যাত্রী থাকায় অনেকে বাধ্য হয়ে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। ট্রেনটি ভাঙ্গুড়া উপজেলার বড়াল ব্রিজ স্টেশন ও শরৎনগর স্টেশনের মাঝখানের রেলপথের ২৪ নম্বর কৈডাঙ্গা রেলসেতু অতিক্রম করার সময় ঘন কুয়াশার কারণে বুঝতে না পারায় ব্রিজের গার্ডারের ধাক্কায় ছাদে থাকা বেশ কয়েকজন যাত্রী মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন। ট্রেনটি চাটমোহর রেলস্টেশনে থামার পর ছাদের যাত্রীদের চিৎকারে সেখান থেকে তিনজনের মৃতদেহ ও কয়েকজনকে আহত অবস্থায় নামানো হয়।

নিহত তিনজনের মরদেহ সঙ্গে থাকা তাদের স্বজনরা নিয়ে যান এবং আহতরা স্থানীয়দের সহায়তায় হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা গ্রহণ করেন।

স্টেশন প্ল্যাটফর্মের দোকানদার আনিছুর রহমানও তিন যাত্রীর মৃতদেহ দেখেছেন বলে নিশ্চিত করেন। তার ধারণা, জিআরপি থানা পুলিশ ও ময়নাতদন্তসহ আইনি ঝামেলা এড়াতে স্বজনরা দ্রুত তিনজনের মরদেহ নিয়ে বাড়ি চলে যান।

নিহত ব্যক্তিদের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় বলে চাটমোহর রেলস্টেশন এলাকার বাসিন্দা দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধি এস এম বাবলু জানিয়েছেন।

বিষয়টি সিরাজগঞ্জ জিআরপি থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানান চাটমোহর স্টেশনে ম্যানেজার মহিউল ইসলাম।

মরণফাঁদ নামে পরিচিত নিচু এই ২৪ নম্বর কৈডাঙ্গা রেলসেতুতে মাঝেমধ্যেই এ রকম দুর্ঘটনায় অসচেতন রেলযাত্রীদের প্রাণহানি ঘটছে।



মন্তব্য চালু নেই