রেলমন্ত্রী বাবা হওয়ায় এলাকায় মিষ্টি বিতরণ

আলোচিত বিয়ের দম্পতির ঘরে কন্যা-সন্তান। এ খবরে রেলমন্ত্রীর এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। এলাকায় মিষ্টি বিতরণ হলেও রাজধানীতে কবে মিষ্টিমুখ করাবেন তিনি- এমন কৌতূহলী প্রশ্ন অনেকের। অবশ্য এবারের মিষ্টির পরিমাণটা বেড়েই যাবে। কারণ মন্ত্রীর জন্মদিন উদযাপন আর ঘরে নতুন অতিথির আগমনে আনন্দটা একটু ভিন্ন মাত্রাই পাবে।

রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক কন্যা বাবা হওয়ার সংবাদটি তার নির্বাচনী এলাকা কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পৌঁছানোর সাথে সাথে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মাঝে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। এসময় নেতাকর্মীরা একে অপরকে মিষ্টি খাওয়ায়ে আনন্দ উৎসব করেন।

চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার মেয়র মিজানুর রহমান নেতাকর্মীদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করে বলেন, চৌদ্দগ্রামের গণমানুষের নেতা রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক কন্যা-সন্তানের বাবা হওয়ায় পৌরসভাবাসীর পক্ষ থেকে তাকে অভিনন্দন জানাই।

এদিকে ফুটফুটে এক কন্যা-সন্তানের বাবা হয়ে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেছেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। সন্তানকে কোলে নিয়ে দারুণ খুশি বলেও জানিয়েছেন তা্র পিএস। ৬৯ বছর বয়সে কন্যা-সন্তানের বাবা হওয়া রেলমন্ত্রী সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।

আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে কন্যা-সন্তানের জন্ম দেন রেলমন্ত্রীর স্ত্রী হনুফা আক্তার।

এ তথ্য নিশ্চিত করেন রেলমন্ত্রীর একান্ত সচিব (পিএস) একেএমজি কিবরিয়া মজুমদার। মা ও সন্তান দুজনেই সুস্থ আছেন বলেও জানান তিনি।

গতকাল বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও করে খবর প্রকাশ হয়, বাবা হচ্ছেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক।

গত বুধবার রাতে রেলমন্ত্রীর স্ত্রী হনুফা আক্তারকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

জীবনের সিংহভাগ সময় একাকি কাটিয়ে দেয়া রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক ২০১৪ সালের ৩১ অক্টোবর কুমিল্লার মেয়ে হনুফা আক্তারকে বিয়ে করেন। বছরের অন্যতম আলোচিত বিয়ে ছিল এটি।

বরযাত্রায় ছিলেন ৬ মন্ত্রী, এমপিসহ ৭০০ বরযাত্রীর বিশাল গাড়িবহর। পরবর্তীতে ঢাকায় সম্পন্ন হয় বিবাহোত্তর সংবর্ধনা।

এদিকে আগামী ৩১ মে মন্ত্রীর ৬৯তম জন্মদিন। এবারের জন্মদিনটা তার জন্য হয়ে উঠতে পারে একেবারেই অন্যরকম। প্রিয় সন্তানকে কোলে নিয়ে হয়তো জন্মদিনের শুভেচ্ছা গ্রহণ করবেন তিনি।



মন্তব্য চালু নেই