রেড অ্যালার্টকে ‘সরকারের বাড়াবাড়ি’ বলছে বিএনপি

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্টকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও সরকারের বাড়াবাড়ি’ হিসেবে অভিহিত করেছে বিএনপি। ইন্টারপোলের এই রেড অ্যালার্টের আইনগত কোনো যৌক্তিক ভিত্তি নেই বলেও দাবি করেছে দলটি।

মঙ্গলবার ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে তারেকের বিরুদ্ধে এই অ্যালার্ট জারির পর তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন এই কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘রেড অ্যালার্ট সরকারের সৃষ্টি। সরকার তাদের কাছে (ইন্টারপোল) সাহায্য চেয়েছে। এটি তাদের বেশি বাড়াবাড়ি।’

বিএনপির এই আইনজীবী নেতা বলেন, ‘কেউ পলাতক থাকলে তার নামে ওয়ারেন্ট জারি করা যায়। ইন্টারপোল সেটি করতেই পারে। কিন্তু তিনি (তারেক রহমান) তো পলাতক নন, রিকোগনাইজড পারসন (পরিচিত ব্যক্তি)। রাইট ওয়েতে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে আছেন, উইদ পাসপোর্ট। দেশ থেকে তিনি পালিয়ে গেলে তখন ওয়ারেন্টের জন্য সরকার সহায়তা চাইতে পারে। কিন্তু সেটি তো নয়। জনগণের কাছে তারেক রহমানকে হেয় করতেই পরিকিল্পতভাবে সরকার ইন্টারপোলের কাছে সহায়তা চেয়ে এই রেড অ্যালার্ট সৃষ্টি করেছে।’

মঙ্গলবার তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করেছে পুলিশের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারপোল। আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলা ও হত্যার অভিযোগে এই ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে। ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে তালিকাভুক্ত ব্যক্তি হিসেবে তারেক রহমানের নাম-পরিচয় ও বিবরণ রয়েছে। তবে সেখানে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারির তারিখ উল্লেখ নেই।

এই ওয়েবসাইটে বাংলাদেশের ৬১ জন তালিকাভুক্ত ব্যক্তির নাম রয়েছে। তালিকায় সবার শেষে তারেক রহমানের নাম, ছবি ও বিবরণ রয়েছে। ওয়েবসাইটে তারেক রহমান সম্পর্কে বিবরণে বলা হয়েছে, তার জন্ম ১৯৬৭ সালের ২০ নভেম্বর। তিনি বাংলা, ইংরেজি ও উর্দু ভাষা জানেন। এতে তারেক রহমানের উচ্চতাসহ শারীরিক বিবরণও আছে।



মন্তব্য চালু নেই