‘রুমির জন্য লাখ টাকা খরচ করে গীটার এনেছি’

১০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার থেকে টক অব দ্যা মিডিয়া হয়ে আছে জনপ্রিয় সংগীত তারকা আরফিন রুমি এবং তার দ্বিতীয় স্ত্রী কামরুন্নেসার বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা। মিডিয়া পাড়ায় এ খবর প্রকাশের পরপরই উঠেছে নানা ধরণের গুঞ্জন। কেউ কেউ বলছেন রুমির স্বভাবই এমন আবার কেউ কেউ বলছেন এটা কামরুন্নেসার দোষ।

এরইমধ্যে কামরুন্নেসা জানিয়েছেন তাদের এখনো ডিভোর্স হয়নি। কারণ তিনি এখনো কোনো ডিভোর্স লেটার পাননি। তার ভাষায়, আমি এখন পর্যন্ত কোনো ডিভোর্স লেটার পাইনি। আমাকে একটা উকিল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এটা কোনো ডিভোর্স লেটার না। আমাদের মধ্যে বনিবনার অভাব আছে। সে ব্যাপারেই রুমি উকিল নোটিশ পাঠিয়েছে। এরপর আমি অনেকবার চেষ্টা করেছি তার সাথে যোগাযোগ করার কিন্তু পারিনি। রুমির কোনো রিপ্লে পাইনি। আসলে কেনো এমনটা হচ্ছে আমি এখনো বুঝতে পারিনি। আমাদের মধ্যে তেমন কোনোকিছু হয়নি যে আমরা ডিভোর্সের দিকে যাবো। আমার ভাবতেই অবাক লাগছে। কারণ আমি ডিভোর্সের ব্যাপারটা জানতে পেরেছি পত্রিকার মাধ্যমে। আর যদি এটা সত্যি হয় তাহলে আমি রুমিকে মোটেও ছাড় দেবো না।

ও (রুমি) যদি কোনো অ্যাকশন নেয়, আমিও রি-অ্যাকশন দেখাব। আমি অবশ্যই মামলা করবো। অনন্যার (রুমির প্রথম স্ত্রী) মতো আমি সব মুখ বুঝে সহ্য করব না। আমি আমার ভবিষ্যৎ নিয়ে এভাবে ছিনিমিনি খেলতে দেবো না কাউকে।

কামরুন্নেসা আরও বলেন, ‘আমি গত অক্টোবরে আমেরিকায় যাই। এরপর রুমি আমার সাথে ঠিকঠাক মতো যোগাযোগ করেনি। আমি ফোন দিয়েও পাইনি। রুমি আমাকে কোনো খরচপাতি দেয়নি। এমন কি আমার ছেলেরও কোনো খরচ দেয়নি। কিন্তু ও যখন যা চেয়েছে আমি চেষ্টা করেছি দেয়ার। আমি দেশে আসবো জেনে ও আমাকে একটা গিটার আনতে বলেছে। আমি লাখ টাকা খরচ করে ওর জন্য গিটার নিয়ে এসেছি। ওর সাথে আমার যদি কোনো প্রকার ঝামেলা থাকতো তাহলে আমি কেনো এতো টাকা খরচ করতে যাবো! আমি সবসময়ই পজিটিভ ছিলাম ওর ব্যাপারে। তবে এখন একটু কষ্ট হচ্ছে।’

দেশে আসার পর রুমির সাথে কথা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে কামরুন্নেসা বলেন, ‘বুধবার আমি বাংলাদেশে আসি। আমি এয়ারপোর্টে নামার পরপরই রুমির বাসায় ফোন দেই। অনুরোধ করি গাড়ি পাঠানোর জন্য। কিন্তু সেখান থেকে কোনোরকম সাড়াশব্দ পাইনি। এরপর আমি আমার বাবার বাড়িতে চলে আসি। এরপরও আমার সাথে রুমির যোগাযোগ হয়নি। আমি চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমার শাশুড়ি আমাদের বাসায় এসেছিলেন বৃহস্পতিবার। তিনি জানিয়েছেন খুব তাড়াতাড়ি এই বিষয়ের সুরাহা করা হবে। কিন্তু এখানে আমার প্রশ্ন হচ্ছে যেখানে কোনো ঝামেলাই নেই সেখানে কী সুরাহা হবে? আর আমিতো ডিভোর্স দেবো না।

রুমি কেনো এমন করছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হয়তোবা রুমি নতুন কোনো প্রেমে পড়েছে। হয়তোবা আমি ওর জন্য আমেরিকায় পেপার করে দেইনি তাই।

এখন আপনি কী করবেন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি কোনো প্রকার ছাড় দেবো না। মেয়েদের জীবন নিয়ে এভাবে খেলা করবে এটা হতে পারে না।



মন্তব্য চালু নেই