রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রতিবেদন জমা

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ লুটের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি তাদের প্রাথমিক প্রতিবেদন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের কাছে জমা দিয়েছেন।

বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কমিটি প্রধান সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে কমিটি প্রতিবেদনটি জমা দেন।

প্রতিবেদনে কি সুপারিশ করা হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত জানা যায়নি।

তবে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কীভাবে ও কার বরাবর অবৈধভাবে অর্থ পরিশোধের নির্দেশ গেছে তা খতিয়ে দেখে পর্যবেক্ষন দিয়েছে তদন্ত কমিটি। অবৈধ অর্থ পরিশোধ ঠেকানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেয়া পদক্ষেপ পর্যাপ্ত ছিল কি না, রিজার্ভ চুরির বিষয় কেন বাংলাদেশ ব্যাংক শুরুতে সরকারের কাছে গোপন করেছে, এর পেছনে যৌক্তিকতা কতটুকু তাও উপস্থাপন করেছে।

এছাড়া কমিটি রিজার্ভ চুরির সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতা এবং দুর্বলতার দিকগুলো বলা হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তা জড়িত থাকার বিষয়টি নিয়ে আরো অধিকতর কাজের সুপারিশ করেছে। এছাড়া যে অর্থ লুট হয়েছে তা উদ্ধারের সম্ভাবনা এবং এ ব্যাপারে নেয়া কার্যক্রম সরকারকে জানিয়েছে প্রতিবেদনের মাধ্যমে।

গত ২০ মার্চ কাজ শুরু করে কমিটি। এর আগে ১৪ মার্চ কমিটি গঠন করে সরকার। সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটিতে ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব গকুল চাঁদ দাস এবং বুয়েটের কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ।

ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটাতে পারে হ্যাকাররা তার জন্য কি কি নতুন পদক্ষেপ নেয়া দরকার তারও সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করেছে কমিটি।



মন্তব্য চালু নেই