রিজার্ভ চুরির অর্থ ফেরাতে আন্তঃসংস্থা টাস্কফোর্স গঠন

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডালের রিজার্ভ ব্যাংকে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে সাত সদস্য বিশিষ্ট আন্তঃসংস্থা টাস্কফোর্স গঠন করেছে সরকার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট’ গঠিত এ টাস্কফোর্সকে সকল ধরনের সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

সাত সদস্যের এ আন্ত:সংস্থা টাস্কফোর্স কমিটির আহবায়ক হচ্ছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো: ইউনুসুর রহমান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্সি ইউনিট’-এর মহাব্যবস্থাপককে কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে। এ ছাড়া এ কমিটির সদস্য হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, অ্যাটর্নী জেনারেল অফিস,-এর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন করে প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে টাস্কফোর্সের ছয় দফা কার্যপরিধিও নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- চুরিকৃত অর্থ দেশে ফেরত আনার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দেশগুলোর আইনগত অবস্থা পর্যালোচনা; যেসব দেশে চুরিকৃত অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে সেসব দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন এবং পারস্পরিক আইনগত সহায়তা গ্রহণ; বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সমন্বয় নিশ্চিত করার উদ্যোগ গ্রহণ এবং সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা; চুরিকৃত/পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার কার্যক্রমে সম্পৃক্ত আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা এবং প্রয়োজনে এসব সংস্থার সহায়তা গ্রহণ; রিভার্ভ থেকে চুরিকৃত অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে সময়ে সময়ে সরকার বা বাংলাদেশ ব্যাংক প্রদত্ত নির্দেশনা বা পরামর্শ পর্যলোচনাপূর্বক প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ। এছাড়া প্রয়োজনে সকল সদস্যের সম্মতিতে এক বা একাধিক সদস্য টাস্কফোর্সে অন্তর্ভুক্ত করার কথাও বলা হয়েছে কার্যপরিধিতে।

‘বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট গঠিত আন্তঃসংস্থা টাস্কফোর্সকে সকল ধরণের সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবে’ উল্লেখ করে প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়েছে, এছাড়া সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ/সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ হতে চুরিকৃত অর্থ দেশে ফেরত আনার লক্ষ্যে উপযুক্ত কার্যপরিধির আওতায় টাস্কফোর্সের সকল কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবে।

উল্লেখ্য, নিউইয়র্কে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে গত ৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের রক্ষিত অর্থ চুরির ঘটনা ঘটে। ফিলিপাইনের দৈনিক দ্য ইনকোয়েরারের হিসেব মতে, এর পরিমাণ প্রায় ৮’শ কোটি টাকা। প্রথম দিকে বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে কোনো কিছু না জানালেও বিদেশি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নেয়।



মন্তব্য চালু নেই