রাবি শিক্ষক হত্যাকাণ্ডে বাবা-ছেলে আটক

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জেলার বাগমারা উপজেলা থেকে আরো ২ জনকে আটক করা হয়েছে।

উপজেলার শ্রীপুর থেকে শুক্রবার ভোরে বাবা ও ছেলেকে আটক করা হয়। রাজশাহী মহানগর পুলিশ তাদের আটক করেছে।

শুক্রবার বিকেলে প্রেস ব্রিফিংয়ে মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. শামসুদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওই ২ ব্যক্তি হলেন বাগমারা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাাপ্ত শিক্ষক আবদুল হাকিম (৬৩) ও তার ছেলে বাগমারা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র আরিফুল ইসলাম।

আবদুল হাকিমের ছোট ভাই ইসাহাক আলী ও শ্রীপুর গামের বাসিন্দারা জানান, আবদুল হাকিমের বড় ছেলে শরিফুল ইসলাম (২৫) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি দেড় বছর ধরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ রেখেছেন। তার কোনো খোঁজ-খবরও জানেন না পরিবারের সদস্যরা। বিশ্ববিদ্যালয়েও যান না শরিফুল। এ কারণে তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি তিনি।

ইসাহাক আলী জানান, ভোরে তার ভাই আবদুল হাকিম ফজরের নামাজ পড়ার জন্য বাড়ির পাশের মসজিদে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এসময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে ১৫ থেকে ১৬ জনের একদল লোক বাড়িতে প্রবেশ করেন। তারা আবদুল হাকিম ও তার ছোট ছেলে আরিফুল ইসলামকে অটক করে নিয়ে যান। এ সময় তারা বাড়ির সবার মোবাইল ফোনও জব্দ করেন।

মহানগর পুলিশ কমিশনার বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাগমারা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তে তেমন কোনো অগ্রগতি নেই বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের সময় প্রত্যক্ষদর্শীদের কেউ না কেউ দেখেছেন। তবে নানা কারণে প্রত্যক্ষদর্শীদের কোনো বর্ণনা পাওয়া যাচ্ছে না। কেউ মুখ খুলছেন না। তিনি গোপনে হোক, কিংবা অন্য কোনো উপায়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের ঘটনার বর্ণনা ও কাউকে চিহ্নিত করতে পারলে তা পুলিশকে জানানোর অনুরোধ জানান। এক্ষেত্রে প্রত্যক্ষদর্শীদের সার্বিক নিরাপত্তা ও নাম ঠিকানা গোপন রাখারও অঙ্গীকার করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ২৩ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৭টায় রাজশাহী নগরীর শালবাগান এলাকায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়য়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে খুন করে দুর্বৃত্তরা।



মন্তব্য চালু নেই