রাবিতে ২০১৫-১৬ প্রাক বাজেট আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অর্থনীতি বিভাগ এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের উদ্যোগে প্রাক বাজেট আলোচনাসভা ২০১৫-২০১৬ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মমতাজউদ্দিন কলাভবনে মোশাররফ হোসেন গ্যালারিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসোসিয়েশনের সভাপতি প্রফেসর মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মুহম্মদ মিজানউদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর তারিক সাইফুল ইসলাম ও বিভাগীয় সভাপতি প্রফেসর মোহাম্মদ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল হক কুমার।

‘উন্নয়নের আঞ্চলিক অগ্রাধিকার’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর এ এন কে নোমান। প্রবন্ধে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি একটি উর্বর সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র যার যথাযথভাবে পরিচালন প্রয়োজন। মাঝারি মানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এখন স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ায় রূপান্তরিত হয়েছে। এশীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নের এই স্বর্ণসময়ে আন্তঃএশীয় বাণিজ্য ও আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার সম্ভাবনা দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের দ্বারোন্মোচন করেছে। আভ্যন্তরীন অর্থনীতির ভিত্তি সুসংহতকরণ এবং অতিদ্রুত পরিবর্তনশীল আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক মানচিত্রে বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ় করার জন্য সুনির্দিষ্ট দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাজেটের প্রতিফলন অতি জরুরী। গতানুগতিক বাজেট প্রণয়নের বাইরে এসে নেতৃত্বমূলক বাজেট প্রদান করলে এই অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো সম্ভব।’

তিনি তার প্রবন্ধে উত্তরাঞ্চলের কৃষি খাতের উন্নয়নের জন্য অবকাঠামো নির্মাণ, সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন, কৃষি পণ্য বিপণন ব্যবস্থা ও পণ্যের নায্যমূল্য নিশ্চিতকরণ, কৃষি ভিত্তিক শিল্প স্থাপনে ও প্রয়োজনীয় মানব সম্পদ উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দেরও দাবী জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর মুহম্মদ মিজানউদ্দিন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিবেচনা করলে দেশের সকল অঞ্চলের মধ্যে জাতীয় সম্পদ সুষমভাবে বণ্টন ও উন্নয়নে তা ব্যয় হওয়ার বাঞ্ছনীয়। আমাদের বাজেটে তার প্রতিফলন ও বাস্তবায়ন একান্ত প্রয়োজন। আগামী বাজেটে সরকার সে লক্ষে প্রয়োজনীয় উন্নয়ন বরাদ্দ ও তার বাস্তবায়নে অধিকতর গতিশীল পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। উত্তরবঙ্গের অন্যতম শীর্ষ বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগসমূহ গবেষণা ও পরিকল্পনার মাধ্যমে সরকারকে সহায়তা দিতে পারবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এ প্রসঙ্গে উপাচার্য যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি উন্নয়নে টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদানের কথা উল্লেখ করেন।

এছাড়া অন্যান্য বক্তারা আগামী ২০১৫-২০১৬ সালের বাজেটে বিশেষ বরাদ্দের প্রত্যাশাসহ উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন তরান্বিত করণের জন্য পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যসহ একটি বিশেষ কমিটি গঠন করারও প্রস্তাব করেন। তাঁরা উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের দাবী জোরদার করার জন্য উত্তরবঙ্গের চারটি বিশ্ববিদ্যালয়কে একযোগে কাজ করার জন্য আহবান জানান।

এ সময় আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর মু. শামসুল আলম বীরপ্রতীক, প্রফেসর এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান, প্রফেসর মো. আখতার হোসেন, প্রফেসর মো. ফখরুল ইসলাম, প্রফেসর আফরাউজ্জামান খান চৌধুরী, প্রফেসর কে বি এম মাহবুবুর রহমান, প্রফেসর মো. আব্দুল কাইয়ূম প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই