রাবিতে শিবির নেতার জালিয়াতির কারণে আটকে আছে অন্য শিক্ষার্থীদের ফলাফল

শিবির নেতার বিরুদ্ধে গবেষণাপত্র জালিয়াতি ও বিভাগের শিক্ষকের বিরুদ্ধে নম্বর টেম্পারিংয়ের অভিযোগে স্থগিত হয়ে যাওয়া ফলাফল দ্রুত প্রকাশের অনুরোধ জানিয়ে আবেদন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দুই শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার রাবির ফলিত গণিত বিভাগের ২০০৭-০৮ সেশনের শিক্ষার্থী তারেকুজ্জামান ও জয়ন্ত কর্মকার উপাচার্য বরাবর এ আবেদন করেন।

জানা যায়, রাবির ফলিত গণিত বিভাগের ২০০৭-০৮ সেশনের থিসিস গ্রুপের শিক্ষার্থীদের এমএসসি পরীক্ষা ২০১৩ সালের ৯ নবেম্বর শেষ হয়। এরপর ২০১৪ সালের ১৩ জুন থিসিস জমা ও ২৮ জুন মৌখিক পরীক্ষা শেষ হয়। তবে থিসিস গ্রুপের তিনজনের মধ্যে রফিকুল ইসলাম এক শিবির নেতার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে গবেষণাপত্রে জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে।

এছাড়া বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক শামসুল আলম সরকারের বিরুদ্ধে রফিকুল ইসলামের টেবুলেশন শিট খুলে নম্বর টেম্পারিংয়েরও অভিযোগ করেন বিভাগের অন্য শিক্ষকরা। এ অবস্থায় ওই বিভাগের ২০০৭-০৮ সেশনের ফলাফল স্থগিত রয়েছে।

আবেদন পত্রে ওই দুই শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, এ কারণে তাদের দরিদ্র পরিবারকে চরম মূল্য দিতে হচ্ছে। এছাড়া তাদের চাকরি জীবনও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। তাই অবিলম্বে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে বাদ দিয়ে তাদের দুজনের ফলাফল প্রকাশ করার জোর দাবি জানান তারা।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আমনুল হকের সঙ্গে কথা বলার জন্য কয়েকবার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।



মন্তব্য চালু নেই