রাত নামলেই নগরীতে ‘আরবীয়’ স্টাইলে চলে নাচ, উড়ায় টাকা

চট্টগ্রাম নগরীর অভিজাত খুলশী আবাসিক এলাকার হাবিব লেইনের ‘মমতাকুঞ্জ’ গেস্ট হাউস। দেখতে সাধারণ আবাসিক ভবন হলেও ভিতরের চিত্র পুরোটাই ভিন্ন। মোহাম্মদ আলম নামে এক ব্যক্তি পাঁচ তলা এ ভবনের প্রতিটা তলায় রাত আর দিনে বসান হরেক রকমের আসর। এ আসরের মধ্যে একটি হচ্ছে ‘মুজরা পার্টি’। এ আসরে আসেন ধনীর বকে যাওয়া সন্তান থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী এবং বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। তারা আরবীয় স্টাইলে নারীর নাচের তালে তালে উড়ান টাকা আর পান করে শুরা। শুধু ‘মমতাকঞ্জু’ নয় এ অভিজাত এলাকার অনেক আবাসিক ভবন ও গেস্ট হাউজ সন্ধ্যা নামলেও পরিণত হয় এমন মিনি আরবে।

সিএমপি’র মুখপাত্র ও মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘খুলশীর যে সব গেস্ট হাউসে অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে, সে সব গেস্ট হাউস এবং ফ্ল্যাটে নিয়মিত অভিযান চালানো হয়। এখন যদি কোন গেস্ট হাউস কিংবা ভবনে অনৈতিক কার্যকলাপ হয়ে থাকলেও তা পুলিশের অগোচরেই হয়। ’

তবে ‘মমতাকুঞ্জ’ গেস্ট হাউসের স্বত্ত্বাধীকারী মোহাম্মদ আলম দাবি করেন, এক সময় অবৈধ ব্যবসা চললেও এখন তা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, নগরীর অভিযান আবাসিক এলাকায় দিন ও রাতে সমান তালে চলে অপরাধযজ্ঞ। গেস্ট হাউস এবং ফ্ল্যাট ভাড়ার আড়ালেই চলে যত অপকর্ম। এসব গেস্ট হাউস ও ফ্ল্যাট বাসায় দিনে দেহ ব্যবসা চললেওও রাতের চিত্রটা পুরোটাই ভিন্ন। পুরো রাত জুড়েই চলে ‘মুজরা পার্টি’। এসব পার্টিতে অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে জনপ্রতি নেয়া হয় ৬ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা। আর অংশগ্রহণকারীরা নর্তকীর নাচের তালে তালে পান করে মদ এবং উড়ান টাকার বাণ্ডেল। খুলশীতে ‘মুজরা পার্টি’ চলে এমন গেস্ট হাউস রয়েছে কমপক্ষে ১৫টি। এছাড়া অনেক ভাড়া করা বাসায় সন্ধ্যা নামলে বসে ‘মুজরা পার্টি’। অভিযোগ রয়েছে এসব গেস্ট হাউস এবং অপকর্ম হয় এমন বাসা থেকে মাসোহারা নেন সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ ও প্রশাসনের অন্যান্য সংস্থা। তাই এসব অপকর্মের কথা জেনেও নিরব থাকেন তারা।

কথিত মুজরা পার্টিতে অংশ গ্রহণ করেছেন এমন একজন ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এ মুজরা পার্টি হয় অনেকটা আরবীয় স্টাইলে। এ পার্টিতে অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যকজনকে এন্ট্রি ফি দিতে হয়। এছাড়া মদের জন্য আলাদা করে টাকা দিতে হয়। কেউ যদি নর্তকীকে টাকা দেয় তাও আলাদা ভাবে দিতে হয়।



মন্তব্য চালু নেই