রাণীনগরে চালককে হত্যা করে মাইক্রোবাস ছিনতাই মামলায় আরো একজন গ্রেফতার

নওগাঁর রাণীনগরে চালককে হত্যা করে মাইক্রোবাস ছিনতাই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় ফিরোজ মন্ডল (২৬) নামের আরো একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শফিকুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর থানার রাইকালী গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

এই হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে এপর্যন্ত মোট ৬জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ফিরোজ রাণীনগর উপজেলার রঞ্জনিয়া গ্রামের আনসার মন্ডলের ছেলে। গ্রেফতারের পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এই হত্যাকান্ডের সাথে সে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।

রাণীনগর থানার অফিসার ইনজার্চ আব্দুল লতিফ খান জানান, গ্রেফতারকৃত ফিরোজ চালককে হত্যা করে মাইক্রোবাস ছিনতাই ঘটনার পর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় গাঁ-ঢাকা দিয়েছিল। তার সহযোগী ৫জনকে গ্রেফতারের পর তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক ফিরোজের নাম আশায় তাকে সোমবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয়েছে। সে এই হত্যাকান্ডের আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে তাদেরকেও গ্রেফতারের জন্য পুলিশী জোর তৎপরতা অব্যহত আছে।

উল্লেখ্য, গত ৮নভেম্বর নওগাঁ উপশেরপুর গ্রামের আক্কাছ আলীর ছেলে মাইক্রোবাস চালক রহিদুল ইসলাম (৩০) কে রাণীনগর থেকে ঢাকা এয়ারপোর্টে যাত্রী যাবার কথা বলে মাইক্রোবাস ভাড়া নিয়ে রাণীনগর উপজেলার দেওলিয়া গ্রামের ত্রিমোহনী ব্রিজের নিকট হাত-পা, মূখ বেধে হত্যা করে পার্শ্বে খালের পানিতে ফেলে মাইক্রোবাস নিয়ে পালিয়ে যায়।

পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। নিহত রহিদুলের স্ত্রী রিতা খাতুন বাদি হয়ে ১০নভেম্বর রাণীনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ ১১নভেম্বর লক্ষীপুর জেলা সদরের উত্তর মধুপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে পরিত্যাক্ত অবস্থায় মাইক্রোবাস উদ্ধার করে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মোবাইল ফোনের কল লিসটের সূত্র ধরে রাণীনগর থানাপুলিশের জোরালো তৎপরতা ও সদইচ্ছার কারণে মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে এই হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ঘাটন সহ কয়েক দফায় মোট ৬জনকে গ্রেফতার করে।



মন্তব্য চালু নেই