গর্ভের সন্তাান নষ্ট না করায় এবং স্ত্রীর নামে জায়গা লিখে না দেয়ার কারনে

রাণীনগরে গভীর রাতে আগুন দিয়ে শ্বশুর বাড়ী পুড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে জামায়ের বিরুদ্ধে!

নওগাঁর রাণীনগরে গর্ভের সন্তান নষ্ট না করায় এবং বাড়ীর জায়গা স্ত্রীর নামে লিখে না দেয়ার কারনে গভীর রাতে শ্বশুর বাড়ীতে আগুন দিয়ে পুড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে জামায়ের বিরুদ্ধে। এঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মধুপুর গ্রামে।

শ্বশুর হাসেন আলী জানান, গত প্রায় ৯/১০ মাস আগে পাশ্ববর্তি ভেটি গ্রামের মৃত মহাম্মদ আলী মোমের ছেলে এরশাদ আলী (২৮) এর সাথে মেয়ে শারমিন আক্তার (১৯) এর বিয়ে দেয়। বিয়ের পর প্রায় ৩ মাস পর্যন্ত ভালই চলছিল মেয়ে-জামায়ের দামপত্ত জীবন। এর পর থেকে সংসারে নেমে আসে অশান্তি । হঠাৎ করেই জামায় এরশাদ তার শাশুরির নামে কবলাকৃত বাড়ীর দেড়শতক জায়গা শারমিনের নামে লিখে দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। এরই মধ্যে শারমিনের গর্ভে জন্ম নেয় ৩ মাসের সন্তান।

পেটে সন্তান ধারনের কথা শুনে প্রথমে খুশি হলেও পরে গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য এবং বাড়ীর জায়গা স্ত্রীর নামে লিখে নেয়ার জন্য প্রতিনিয়ত হুমকি-ধামকি দিতে থাকে শ্বশুর-শাশুরিকে।

গত ৪/৫ দিনে আগে সন্তান নষ্ট করার জন্য প্রায় ১৮শত টাকার ঔষধ নিয়ে এসে শারমিনকে খাওয়ানোর চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়। এক পর্যায়ে গত মঙ্গলবার ভোর রাত অনুমান চারটায় জামায় এরশাদ লোকজন নিয়ে শ্বশুর বাড়ীতে যায়।

এসময় বাড়ীর বাহির থেকে শ্বশুর,শাশুরি ও স্ত্রীকে অশলীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং দরজা খুলে দেয়ার কথা বলে। কিন্তু শ্বশুর বা বাড়ীর কোন লোকজন ভয়ে দরজা খুলে না দেয়ায় বাড়ীতে আগুন ধরে দিয়ে মটরসাইকেল যোগে চলে যায়।

এসময় তাদের চিৎকারে গ্রামের লোকজন ছুটে এসে তালার উপরের জানালা ভেঙ্গে বাড়ীর লোকজনদের বের করে প্রাণে বাঁচাতে পারলেও আগুনের হাত থেকে রক্ষা পায়নি চালের টিন এবং ঘরের আসবাবপত্র। আগুনে প্রায় এক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান সাবেক মেম্বার হাসেন আলী ।

এব্যাপারে রাণীনগর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মাসউদ চৌধুরী জানান, ঘটনাটি শুনে সেখানে অফিসার পাঠিয়ে ছিলাম জামায়কে ধরার জন্য কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।



মন্তব্য চালু নেই