রাণীনগরে খাস পুকুর দখল করা নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের আশংকা

নওগাঁর রাণীনগরে খাস পুকুর দখল করাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করছেন এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা, উপজেলার কালীগাঁও মৌজার ৪৩১০ হাল দাগে ১.৬২ একর সহ এলাকায় ৩ টি পুকুর দীর্ঘদিন ধরে সরকারীভাবে ইজারা প্রদান করে আসছে। সর্ব শেষ গত ১৪১৯ বাংলা সন থেকে ১৪২১ বাংলা সাল পর্যন্ত উপজেলা জলমহাল কমিটি টেন্ডারের মাধ্যমে ইজারা প্রদান করেন। উল্লেখিত ইজারার মেয়াদ শেষ পর্যায়ে কমিটি আবারও ১৪২২ বাংলা সন থেকে ১৪২৪ বাংলা সন পর্যন্ত পুকুরগুলো ইজারা দেয়ার জন্য টেন্ডার আহ্ববান করে। এরই মধ্যে উক্ত এলাকার ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচিত রাতোয়াল গ্রামের মৃত আলমগীর চৌধুরীর ছেলে খাঁন চৌধুরী আলী আজম একটি কাগজ বের করে পুকুর ৩টির মালিকানা দাবি করে আদালতে মামলা দায়ের করে। মামলার প্রেক্ষিতে আদালত স্থিতি অবস্থার আদেশ প্রদান করেন।। এদিকে খাঁন চৌধুরী আলী আজম পুকুরটি জবর দখল করে নিতে বিগত ইজারাদারকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে বলে ইজারাদার জানান । এতে ওই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। ওই পুকুর দখল করাকে কেন্দ্র করে যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করছেন।

এব্যাপারে খাঁন চৌধুরী আলী আজম জানান, ১৯৫২ ইং সালের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছ থেকে তার বাবা মৃত-আলমগীর চৌধুরী আশে-পাশের জমিতে পানি সেচের জন্য পুকুর গুলো পত্তন নেন এবং ৬২ সালে খতিয়ানে তার বাবার নাম আছে কিন্তু ৭২ সালে খাস খতিয়ানে অর্š—ভূক্ত হয়।

এব্যাপারে ওই গ্রামের জাহের আলী জানান, সিএস ১০ নম্বর খতিয়ানে এখন পর্যন্ত সতেন্দ্রনাথ ও দিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম অর্ন্তভ’ক্ত আছে কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম নেই তার পরেও কিভাবে সে মালিকানা দাবি করছে তা আমাদের বুঝে আসছে না।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম পাটওয়ারী জানান, খাঁন চৌধুরী আলী আজম পুকুরের মালিকানা দাবি করে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। কিন্তু আমরা সরকারের পক্ষ থেকে আইনি প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছি।



মন্তব্য চালু নেই