নিমজ্জিত হচ্ছে শত শত হেক্টর জমির আবাদী ফসল

রাণীনগরে একরাতে প্রায় ৪০টি গ্রাম প্লাবিত

নওগাঁর রাণীনগরে বন্যা পরিস্থতিীর চরম অবনতি ঘটেছে। গত এক রাতে এলাকার প্রায় ৪০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানি বন্দি হয়ে পরেছে প্রায় ৩০ হাজার লোক। প্রতি ঘন্টায় নিমজ্জিত হচ্ছে কৃষকের শত,শত হেক্টর জমির আবাদি ফসল। গত কয়েকদিনের বন্যায় রাণীনগর-আত্রাই উপজেলার প্রায় পৌনে একলক্ষ লোক পানি বন্দি হয়ে পরেছে।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে হঠাৎ করেই ফুঁসে ওঠে আত্রাই নদী ও আত্রাই যমুনা নদী। গত রবিবার ভোর রাতে আত্রাই ফুরবাড়ী নামকস্থানে বেরিবাঁধ ভেঙ্গে যায়। সোমবার রাতে একই এলাকার আত্রাই-নওগাঁ আঞ্চলিক পাকা সড়কের মিরাপুর নামকস্থানে বেরিবাঁধ ভেঙ্গে প্রবল বেগে পানি অতিবাহিত হতে থাকে।
পাশাপাশি আত্রাই এলাকার আরো কয়েকটিস্থানে বাঁধ ভেঙ্গে মাঠের পর মাঠ প্লাবিত হতে থাকে। সোমবার রাতে রাণীনগর এলাকার ঘোষগ্রাম কৃষ্ণপুর-নান্দাইবাড়ী নামকস্থানে বেরিবাঁধ ভেঙ্গে যায়। এতে করে মঙ্গলবার একরাতেই রাণীনগর এলাকার প্রায় ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে প্রায় ৩০ হাজার লোক পানি বন্দি হয়ে পরেছে।
এছাড়াও এলাকার কয়েকশত পুকুরের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।

কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমির আবাদী ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। তাছাড়া প্রতি ঘন্টায় হেক্টরের পর হেক্টর জমির আবাদী ফসল পানিতে নিমজ্জিত হচ্ছে।

উপজেলার গোনা গ্রামের কৃষক মোঃ আব্দুল গফুর জানান, তিনি সম্প্রতি ১০বিঘা জমিতে রোপ-আমন ধান রোপন করেছেন। কিন্তু তার সব জমির ধান বর্তমানে বন্যার পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

মিরাট গ্রামের রহিম উদ্দীন জানান, তিনি এ মৌসুমে ৬ বিঘা জমিতে রোপা-আমন ধান রোপন করেছেন কিন্তু বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। তিনি আরো জানান, মৌসুমের শুরুতে ভারী বর্ষনের কারনে জমিতে জলাবদ্ধতা থাকায় ধান রোপন করতে দেরি হয়েছে। এর পর এমন সময় বন্যায় ধান তলিয়ে গেল যা আর পুনরায় রোপন করা সম্ভব নয়।

রাণীনগর উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মেহেদি হাসান জানান, ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য ইতিমধ্যে ১০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে।

আত্রাই উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা নরেন্দ নারায়ন চৌধুরী জানান,বন্যাকবলিত এলাকার জন্য ১৫ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। আরো বরাদ্দের জন্য চেষ্টা চলছে।



মন্তব্য চালু নেই