রাজশাহী-খুলনা রুটে পতাকার রঙে ছুটবে কপোতাক্ষ

নতুন লাল-সবুজ বগি নিয়ে এবার পতাকার রঙে ছুটবে রাজশাহী-খুলনা রুটে চলাচলকারী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস।

ভারত থেকে আমদানি করা ১২টি বগি এতে সংযুক্ত করা হয়েছে। বাড়ানো হচ্ছে ট্রেনের লোড, আরো বেশি যাত্রীর স্থান সংকুলানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফরমে রাখা ট্রেনটি এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। উদ্বোধনের পর আজ রোববার থেকে রাজশাহী-খুলনা রেলপথে ট্রেনটি নতুন লাল-সবুজ বগি নিয়ে চলবে।

এর আগে ঢাকা-রাজশাহী রেলপথে পদ্মা, সিল্কসিটি ও ধূমকেতু এক্সপ্রেসে নতুন লাল-সবুজ বগি যুক্ত করা হয়। তবে ঢাকার বাইরে এই প্রথম রাজশাহী-খুলনা অভ্যন্তরীণ রুটে লাল-সবুজ বগি যুক্ত হচ্ছে।

যাত্রীরা যাতে আরামে বসতে পারেন, সে জন্য বগিগুলোতে এক আসন থেকে আরেক আসনের মাঝে যথেষ্ট ফাঁকা রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আরো আধুনিক অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে বগিগুলোতে। সেগুলো উদ্বোধনের পর রাজশাহী-খুলনা রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের আসন সংকটেরও খানিকটা সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, বগিগুলো নিয়ে বেশ উচ্ছসিত রেল কর্মকর্তারা। উদ্বোধনের জন্য এরই মধ্যে বগিগুলোর সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষাও শেষ করেছে রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগ।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট আলতাফ হোসেন খান শনিবার সন্ধ্যায় জানান, রোববার দুপুরে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক রাজশাহীতে কপোতাক্ষ এক্সপ্রেসের নতুন বগিগুলো উদ্বোধন করবেন। এ জন্য রাজশাহী স্টেশনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। মন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে রাজশাহী স্টেশনে সাজসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি জানান, এতদিন কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস নয়টি বগি নিয়ে চলাচল করত। এতে যাত্রীর আসন ছিল ৬১৭টি। তবে ট্রেনটি রোববার থেকে ১২টি বগি নিয়ে চলাচল করবে। এতে আসন থাকবে ৮৬৬টি। নতুন বগিগুলোতে আগের তুলনায় এসি চেয়ার ও কেবিনের সংখ্যা বেশি থাকবে। বাড়বে প্রথম শ্রেণির আসনের সংখ্যাও। এতে যাত্রীরা আরো স্বাচ্ছন্দে যাতায়াত করতে পারবেন।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস খুবই জনপ্রিয় একটি ট্রেন। বর্তমানের এই ট্রেনটি দিয়ে যাত্রী সঙ্কুলান সম্ভব হয় না। আসনের চেয়ে দুই-তিন গুণ যাত্রী নিয়ে কপোতাক্ষ চলাচল করে। শনিবার ছাড়া সপ্তাহে ছয় দিন ট্রেনটি ভোর সাড়ে ৬টায় খুলনা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। রাজশাহী পৌঁছে বেলা ১২টা ২০ মিনিটে। এরপর দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে রাজশাহী থেকে ছেড়ে খুলনায় পৌঁছে রাত ৮টায়।

ট্রেনটিতে চলাচলকারী যাত্রীরা জানান, খুলনা থেকে ভোরে ছেড়ে আসার কারণে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের প্রথম পছন্দ এই কপোতাক্ষ। কিন্তু বগির সংখ্যা কম হওয়ায় এই ট্রেনে ভ্রমণ করতে যাত্রীদের অনেক কষ্ট হয়। বর্ধিত বগি নিয়ে ট্রেনটি চলাচল শুরু করলে যাত্রীদের দুর্ভোগ অনেকটাই কমবে। আর আধুনিক বগিতে আগের চেয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দে চলাচল করতে পারবেন যাত্রীরা।



মন্তব্য চালু নেই