রাজন হত্যা : পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে কমিটি

সিলেটে বর্বরোচিত নির্যাতনে সামিউল আলম রাজন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রাজনের বাবা শেখ আজিজুর রহমান ও স্বজনদের বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিকেলে ওই কমিটি গঠন করা হয়।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এসএম রুকন উদ্দিনকে প্রধান করে গঠিত কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মুশফেকুর রহমান ও ডিসি (দক্ষিণ) জেদান আল মুসা।

রাজন হত্যাকাণ্ডের পর তার বাবা ও স্বজনরা থানায় মামলা করতে গেলে এসএমপি’র জালালাবাদ থানার ওসি (তদন্ত) আলমগীর হোসেন ও উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং প্রকৃত খুনিদের আড়াল করার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

সিলেট মেট্রোপলিটনের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে  বলেন, ‘আগামী তিনদিনের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’

গত বুধবার সিলেট নগরীর কুমারগাঁওয়ে শিশু সামিউল আলম রাজনকে (১৩) চুরির অপবাদ দিয়ে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পৈশাচিক নির্যাতন চালানো হয়। একপর্যায়ে রাজন মারা গেলে তার লাশ গুম করার চেষ্টাকালে পুলিশের হাতে আটক হয় মুহিত আলম ও মামলার মূল হোতা কামরুল। পরে দেশ ছেড়ে সৌদি আরবে পালালে সেখানে কামরুলকে আটক করা হয়।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে এসএমপির জালালাবাদ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলায় মুহিত আলম (৩২) ও তার ভাই কামরুল ইসলাম (২৪), তাদের সহযোগী আলী হায়দার (৩৪) ও চৌকিদার ময়না মিয়াকে (৪৫) আসামি করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই