রাজনৈতিক কারণেই বাংলাদেশে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণে আগ্রহী জাপান

বাংলাদেশের কক্সবাজারের সমুদ্র তীরবর্তী মাতারবাড়িতে নির্মিত হবে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর। ১৮ মিটার গভীর এ বন্দর নির্মাণ কাজ পেতে যাচ্ছে জাপান।

তবে মাতারবাড়ি থেকে প্রায় ১৫ মাইল দূরে একই ধরনের সমুদ্র বন্দর নির্মাণে আগ্রহী ছিল চীন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, একটিমাত্র সমুদ্রবন্দর নির্মাণের জায়গাই অাছে ঐ এলাকায়।

ব্লুমবার্গ নিউজের এক মেইলের উত্তরে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি জানিয়েছে, আগামী বছরের জানুয়ারি নাগাদ শুরু হতে পারে এ বন্দর নির্মাণের কাজ। এ খবর দিয়েছে জাপানের সংবাদপত্র দি জাপান টাইমস।

এক প্রতিবেদনে তারা যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি আইএইচএস ইন্ক এর বিশেষজ্ঞর বরাত দিয়ে বলেছে, চীনকে হটিয়ে জাপানের এ কাজ পাওয়া বেশ রাজনৈতিক। আইএইচএস ইন্ক এর মেরিটাইম অ্যানালিষ্ট ক্রিসপেস অ্যটকিনসন জাপান টাইমসকে বলেছেন, ‘যদি আপনি একটি সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করতে চান আবার একই সাথে পশ্চিমাদের সহযোগিতাও চান, তাহলে চীন এখানে ভালো অপশন হবে না। আর সে কারণেই জাপান এগিয়ে গেল।‘

আগামী দশকগুলোতে শক্তিশালী ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠা করতে ভারত, চীন এবং জাপান বঙ্গোপসাগরকে খুবই গুরুত্বের সাথে দেখে। এ অঞ্চলের মোট আয়তন মেক্সিকোর চেয়েও বেশি। দেশগুলো এখানে আধিপত্য বজায় রাখার জন্য বিলিয়ন ডলার অর্থ ব্যয় করে।

অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ক্যানবেরার ডেভিড ব্রেউস্টার বঙ্গোপসাগরের এ অঞ্চলকে দক্ষিণ চীন সাগরের সাথে তুলনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘জাপান স্পষ্টতই চীনের সাথে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে। বন্দরে নিজিদের আধিপত্যের খবরে নিশ্চয়ই জাপানের মানুষ খুশি হবে।’

বাংলাদেশ সরকারও ২০১৬ সালের শুরুতে এ সমুদ্র বন্দরটি নির্মাণ শুরুর কথা নিশ্চিত করেছে। একই সাথে বাংলাদেশ সরকার বলছে সোনাদিয়ায় চীনের তত্বাবধানে সমুদ্র বন্দর নির্মূানের বিষয়ে আলোচনা চলছে।



মন্তব্য চালু নেই