রাজনীতিতে অধিক মিথ্যাচার, বললেন মওদুদ

বিএপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমেদ বলেছেন, ‘রাজনীতিতে অধিক মিথ্যাচার ও অনৈতিকতা ঢুকে গেছে। ফলে ঐতিহাসিকভাবে রাজনীতির যে সুনাম অর্জিত হয়েছিল তা বর্তমানে বিঘ্নিত হচ্ছে।’

শনিবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল ও গণতন্ত্র’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) এ সেমিনারের আয়োজন করে।

মওদুদ আহমেদ বলেন, ‘বর্তমানে দেশে রাজনীতি ও গণতন্ত্রের শূন্যতা বিরাজ করছে। গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়াটা হবে বর্তামান সরকারের প্রধান দায়িত্ব। গণতন্ত্রের শূন্যতার জন্যই নারয়াণগঞ্জের ঘটনা ঘটেছে। এটা শুরু মাত্র।’ এ অবস্থা অব্যহত থাকলে তা দেশের জন্য খুবই ভয়াবহ দৃশ্য অপেক্ষা করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘৫ জানুয়ারি যে নির্বাচন হয়েছে সেটা করে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। ওই নির্বাচনে জনগণ অংশগ্রহণ করতে পারেনি।’ তাই তিনি সরকারকে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করে দ্রুত নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানান।

তিনি আরো বলেন, ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সরকারকে আন্তরিক হতে হবে। বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশনসহ সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান স্বাধীনভাবে কাজ করতে হবে। একই সঙ্গে সব রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের দলের মধ্যে গণতন্ত্র মেনে কাজ করতে হবে।’

সিপিডির সভাপতি বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করলেও দেশের জনগণ অস্বস্তিতে আছেন। কারণ জনগণ এমনটি চাননি। তারা চান সব দলের অংগ্রহণে নির্বাচন। কিন্তু গত নির্বাচন সব দল অংশগ্রহণ করেনি আর অধিকাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতেও পারেনি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতি এগিয়েছে। সামাজিক বিভিন্ন সূচকেরও অগ্রগতি লক্ষ্যনীয় কিন্তু রজনৈতিকভাবে আমরা এখনো অনেক পিছিয়ে আছি। রাজনৈতিকভাবে আমরা যদি আরো একটু এগিয়ে যেতে পারি। তাহলে অর্থনীতিকভাবেও আরো এগিয়ে যাবো।’

এতে আরো বক্তব্য রাখেন- বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সমসের মবিন চৌধুরী, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হুদা, ব্রিগেডিয়ার শাখাওয়াত হোসেন, সুজনের নির্বাহী পরিচালক বদিউল আলম মজুমদার প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই