রাজধানীতে হঠাৎ রাস্তা ধস, জনমনে আতঙ্ক

রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় ন্যাশনাল ব্যাংকের নির্মাণাধীন ‘টুইন টাওয়ার’ ভবনের পাইলিংয়ের গর্তে ধসে গেছে পাশের সড়কের একটি অংশ। বুধবার সকালে দু’দফা এ ঘটনার পর সুন্দরবন হোটেলের পাশের ওই রাস্তাটি ছাড়াও কয়েকটি অস্থায়ী দোকানও পড়ে যায় গর্তটিতে।

এ ঘটনার পর পাশের সুন্দরবন হোটেলটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সেখানে অবস্থানরত সকল বোর্ডারকে হোটেল ত্যাগ করতে বলেছে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে সকল বোর্ডার হোটেল ত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।

ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক নুরুল হক জানান, সকাল সাতটা ১০ মিনিটে ন্যাশনাল ব্যাংকের নির্মাণাধীন ভবনের গভীর গর্তে বিকট শব্দে রাস্তাটি ধসে পড়ে। এরপর সকাল সাড়ে সাতটায় দ্বিতীয় দফায় ধসে পড়ে সড়কের ফুটপাত ও অস্থায়ী কয়েকটি দোকান।

সুন্দরবন হোটেলের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার জানান, এ ঘটনার পর সকল বোর্ডার হোটেল ছেড়েছেন।

আব্দুস সাত্তার আরও জানান, ন্যাশনাল ব্যাংক কর্তৃপক্ষ যখন পাইলিংয়ের কাজ শুরু করে তখন তাদের বলেছিলাম পর্যাপ্ত নিরাপত্তা করেই এটা করেন। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছিল। অথচ আজ তাদের অসতর্কতায় দুর্ঘটনা ঘটল।

প্রস্তাবিত ২৫ তলা ভবনটির ডেভেলপার হিসেবে কাজ করছিল মাম ইমপেক্স লি.। এর প্রকৌশলী ইলিয়াস মিয়া জানান, ওখান দিয়ে একটা পয়ঃনিষ্কাশনের লাইন ছিল। সেই লাইন ফুটো হয়ে ভেতরে পানি ঢুকে মাটি নরম হয়ে যায়। এর ফলেই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

সুন্দরবন হোটেল কর্তৃপক্ষের অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, যেহেতু তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মনে করছে তাই তাদের অভিযোগ করা স্বাভাবিক। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।

ফায়ার সার্ভিস তেজগাঁও স্টেশন অফিসার নুরুজ্জামান জানান, দুর্ঘটনায় হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক মেজর শাকিল বলেন, ধসে যাওয়া ওই সড়ক দিয়ে ভারি কোন যানবাহন এবং লোকজন চলাচল না করার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া ওই এলাকায় পানি ও বিদ্যুৎ বন্ধ করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে রাজউক ও ঢাকা সিটি করপোরেশনকে অনুরোধ করা হয়েছে তাদের বিশেষজ্ঞদের পাঠিয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য।



মন্তব্য চালু নেই