রাজধানীতে ধর্ষণের শিকার তরুণী ও কিশোরী

রাজধানীর দক্ষিণখান থানার ফায়েদাবাদ ও তেজগাঁওয়ে পৃথক দুটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষিতদের মধ্যে একজন তরুণী ও অপরজন কিশোরী।

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ধর্ষিতদের ভর্তি করা হলে বিষয়টি জানা যায়। তবে দুই ধর্ষিতার পরিবার এ বিষয়ে তেমন একটা মুখ খুলেনি। জানা যায়নি ধর্ষকদের নামও।

দক্ষিণখানের ঘটনা সম্পর্কে জানা গেছে, ২০ বছর বয়সী তরুণী যিনি এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন। তার বাড়ি বরিশালে। ঢাকায় চাচার বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন এক সপ্তাহ আগে।

তার চাচা হুমায়ুন জানান, গতকাল রাতে বাসায় তার ভাতিজিতে তিনি অজ্ঞান অবস্থায় পান। শরীরের বাহ্যিক আলামত দেখে তার ধারণা হয়েছে ভাতিজি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। রাত তিনটার দিকে তাকে ঢামেকে ভর্তি করানো হয়। এখনো তার জ্ঞান ফেরেনি। তাই ধর্ষকের নাম বা ঘটনার কোনো কিছুই তিনি জানাতে পারেননি।

তবে এক প্রশ্নের উত্তরে হুমায়ুন বিভ্রান্তিকর তথ্য দেন। তিনি জানান, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি আপোষরফা করার জন্য চাপ দিচ্ছেন। ঘটনার কথা পুলিশকে না জানাতেও বলেছেন তারা। তাই তিনি পুলিশকে কিছুই জানাননি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আর কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

দক্ষিণখান থানার ওসি শামীম অর রশীদ তালুকদার বলেন, ‘আমরা ঘটনা সম্পর্কে জেনেছি। তবে এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। তবে আমরা ঢাকা মেডিকেলে পুলিশ পাঠিয়ে খবর নিচ্ছি।’

এদিকে তেজগাঁও এলাকায় ধর্ষিত কিশোরীর বয়স ১৪ বছর। তাকেও বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তেজগাঁও থানার অপারেশন অফিসার তাজুল ইসলাম ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করলেও বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানান।



মন্তব্য চালু নেই