রাখাইনে গুলিবিদ্ধ শাহ আলমকে টেকনাফে এনেও বাঁচানো গেল না

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনীর হানায় বুকে গুলিবিদ্ধ শাহ আলমকে তার স্বজনরা গোপনে চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশের টেকনাফে নিয়ে এলেও তাকে বাঁচানো গেল না।

সোমবার সকালে গুলিবিদ্ধ শাহ আলাম (৪৫) টেকনাফের রোহিঙ্গা লেদা ক্যাম্পে মারা যায়।

তিনি রাখাইনের মংডুর মাঙ্গালা গ্রামের বাসিন্দা সৈয়দুল আমিনের ছেলে। রোববার সন্ধ্যায় ওই গ্রামে দেশটির সেনাবাহিনীর নির্বিচার গুলিতে শাহ আলম বুকে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন।

তার স্বজনরা জানান, রোববার সন্ধ্যায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী মংডুর মাঙ্গালা গ্রামে হানা দেয়। এসময় তারা নির্বিচারে গুলি করতে থাকে। সেনাবাহিনীর ভয়ে শাহ আলম পালিয়ে যাবার পথে তাকেও গুলি করা হয়। এতে তিনি বুকের বাম পাশে গুলিবিদ্ধ হয়ে একটি ফসলের মাঠে পরে থাকেন। পরে তার স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে কিছু সেবা-সশ্রুষা দেন।

এরপর সোমবার ভোর রাত ৪টার দিকে তার খালাতো বোন ফাতেমা মাঙ্গালা গ্রামের আরও দুই সহযোগীকে নিয়ে গোপনে নৌকায় করে নাফ নদীর টমটমিয়া সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গা লেদা ক্যাম্পের ‘এ’ ব্লকের শাহআলমের বোন রমিদার কক্ষে নিয়ে আসেন।

তার স্বজনরা আরও জানান, এখানে আসার কিছুক্ষণ পর শাহ আলম মারা যায়।

এদিকে খবর পেয়ে টেকনাফ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাফায়াত আহমেদ ও গোপরান উদ্দিন ওই ক্যাম্পে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছেন। পরে মরদেহ পোস্ট মর্টেমের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠান।



মন্তব্য চালু নেই