রাউজানে ভেঙ্গে পড়া ব্রীজে গাছ-মাটি দিয়ে সংস্কার

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় ভেঙ্গে পড়া ব্রীজকে গাছ ও মাটি দিয়ে সংস্কারের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার নোয়াজিষপুর ইউনিয়নের পশ্চিম নোয়াজিষপুর গ্রামে আব্দুল জব্বার সড়ক (নদিমপুর-চৌধুরীঘাটা সংযোগ সড়কের) শুরুতে ব্রীজটি ভেঙ্গে রাস্তা থেকে প্রায় ২-৩ ফুট নিচে হেলে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘ ৭/৮মাস আগে ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ে এবং প্রায় কয়েক মাস ঐ সড়ক দিয়ে কোন যানবাহন চলাচল করতো না।

উক্ত সড়কটিদে একটি মাত্র কালভাট ভেঙ্গে পড়ায় সম্পূর্ণ যোগাযোগ বন্ধ ছিল বলে তারা জানান। তারা আরো জানান, সাম্প্রতি আব্দুল জব্বার সড়কটিকে পুনরায় কার্পেটিং করা হয়। কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ হলেও যানচলাচলের একটি বাধাই ছিল ব্রীজটি। পরে ভেঙ্গে পড়া ব্রীজটির উপরে গাছ ও মাটি দিয়ে সংস্কার করে দেয়। তারা আরো বলেন, উক্ত সড়কদিয়ে প্রতিদিন দুইটি উচ্চ বিদ্যালয়, দুইটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৩/৪শত শিক্ষার্থী স্কুলে যায়। এবং বেশ কয়েকটি গ্রামের জনসাধারণ সড়কটি দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করে।

স্থানীয় চেয়ারম্যান সরোয়ার্দী সিকদার বলেন, ব্রীজটি সংস্কারের জন্য টেন্ডার আহবান করা হয়েছে। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে সকল কার্যাদি শেষ করে দ্রুত ব্রীজটির কাজ শুরু করতে পারব। সরেজমিনের গিয়ে দেখা যায়, নদিমপুর ইছাপুর সড়ক (ব্রীক ফিল্ড সড়ক) হয়ে সংযোগ আব্দুল জব্বার সড়ক (নদিমপুর-চৌধুরীঘাটা সংযোগ) সড়কের শুরুতেই ব্রীজটি। সড়ক থেকে ব্রীজটি ভেঙ্গে পশ্চিমের অংশ নিচের দিকে প্রায় ২/৩ ফুট গভীরে চলে যায় এবং পূর্বের অংশ প্রায় দুই ফুট উপরের দিকে রয়ে যায়।

রাস্তার দুই পাশের মাটির গার্ড ওয়ালগুলো সরে গিয়ে হেলে পড়ায় সম্পূর্ণ ব্রীজ আলতো ভাবে এখন রয়েছে। এবং সম্প্রতি ঝুকিপূর্ণ ব্রীজটিতে গাছ মাটি দিয়ে বরাট করে দেয়ায় আরো ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা, ঝড়তে পারে তাজা প্রাণ, খালি হতে পারে কোন মায়ের বুক। পরে স্থানীয়রা, ব্রীজটি দ্রুত নির্মাণ করে অত্র গ্রামের জনসাধারণের চলাচলের সু-ব্যবস্থা করবেন বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।



মন্তব্য চালু নেই