রমজানে শয়তানকে বেঁধে রাখার পরও মানুষ কেন এ মাসে খারপ কাজ করে?

রমজান মহান আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে রহমত এবং বরকতের মাস। এই মানে মহান আল্লাহ তার বান্দার জন্য শয়তানকে আটকিয়ে রাখেন যাতে শয়তান মানুষকে কোনো রকমের খারাপ কাজের দিকে আহ্বান করতে না পারে। এই প্রসঙ্গে হযরত আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-

إذا جاء رمضان فتحت أبواب الجنة، وغلقت أبواب النار، وصفدت الشياطين.

অর্থ : যখন রমযান মাসের আগমন ঘটে, তখন জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর শয়তানদেরকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়।-সহীহ বুখারী, হাদীস-১৮৯৮, সহীহ মুসলিম, হাদীস-১০৭৯ (১), মুসনাদে আহমদ হাদীস-৮৬৮৪, সুনানে দারেমী, হাদীস-১৭৭৫

শয়তানকে লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার কারণ হলো, শয়তান যাতে করে নেক বান্দাদের ধোঁকা দিতে না পারে। মানুষ যাতে করে একাগ্রচিত্তে এক আল্লাহর ইবাদাতে মশগুল হতে পারে। ইবারদাতের সময় মানুষ যাতে করে শয়তানের কোনো প্রকার ধোকার মাঝে না পরে। তবে অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকতে পারে শয়তানকে বেঁধে রাখার পরও রমজান মাসে মানুষ কেন পূর্বের ন্যায়ে সেসব কাজ করেন?

এই প্রশঙ্গে বর্ণনায় এসেছে, দীর্ঘ এগারো মান মানুষ শয়তানের অনুস্বরণ করতে করতে এ একটি মাস তা থেকে বিরত থাকতে পারেনা। সুতরাং এমাসে শয়তানকে বেঁধে রাখলেও কিছু মানুষরুপি শয়তান রয়েছে যারা সেই দায়িত্ব পালন করে থাকেন। আর এজন্য এই মানুষরুপি শয়তানদের থেকে দুরে থেকে রমজানের পূর্ণ রহমত বরকত হাসিল করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করুণ।

অপর এক হাদীসে এসেছে-হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তাআলার কসম! মুসলমানদের জন্য রমযানের চেয়ে উত্তম কোনো মাস আসেনি এবং মুনাফিকদের জন্য রমযান মাসের চেয়ে অধিক ক্ষতির মাসও আর আসেনি। কেননা মুমিনগণ এ মাসে (গোটা বছরের জন্য) ইবাদতের শক্তি ও পাথেয় সংগ্রহ করে। আর মুনাফিকরা তাতে মানুষের উদাসীনতা ও দোষত্রুটি অন্বেষণ করে। এ মাস মুমিনের জন্য গনীমত আর মুনাফিকের জন্য ক্ষতির কারণ।-মুসনাদে আহমদ, হাদীস-৮৩৬৮, মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হাদীস-৮৯৬৮, সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস-১৮৮৪, তাবারানী হাদীস-৯০০৪, বাইহাকী শুয়াবুল ঈমান, হাদীস-৩৩৩৫

লেখক : মোঃ জহিরুল ইসলাম।



মন্তব্য চালু নেই