রংপুরে কফি খাওয়াকে কেন্দ্র করে খেয়াপার্কের কফিশপ ভাঙচুর

রংপুর প্রতিনিধি: রংপুরের পার্কের মোড়ের ভেতরে খেয়াপার্কে কফি এবং আইসক্রীম খাওয়াকে কেন্দ্র করে কফিশপ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার বিকাল ৫ টার দিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মী সেখানে খেতে গেলে কফিশপের লোকজনের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়।

তবে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দাবি, স্থানীয় টোকাইরা ঐ কর্মীকে মারে। পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিপিন নামের এক কর্মচারিকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির এস আই এরশাদ হোসেন।

এলাকাবাসী এবং প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকাল পাঁচটার দিকে মারুফ নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের এক কর্মী এবং তার সাথে এক মেয়ে খেয়াপার্কে কফি খেতে যায়। প্রথমে কফি অর্ডার দিলেও পরে আইসক্রীমের অর্ডার দেয় মারুফ। দোকানের কর্মচারি আইসক্রীম নিয়ে আসলে পুনরায় সে বাটী আইসক্রীম আনতে বলে। বারবার এভাবে খাবারের অর্ডার দিলে সেই কর্মচারি এভাবে বারবার আনতে পারবে না বলে জানায়। পরে ঐ ছাত্রলীগ কর্মী আখিরুল নামের ব্যক্তিকে আঘাত করে এবং টাকা না দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। পরে আবারো সে কফিশপে প্রবেশ করে। এ সময় ঐ কর্মীকে আটক করা হয়। পরে খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এক নেতার নের্তৃত্বে ২৫/৩০ জনের একটি দল খেয়াপার্কের কফিশপের কাঁচ, সাইনবোর্ড ভাঙচুর করে।

কফিশপ পরিচালনাকারি টুকুর বড় ভাই খুকু এবং ভাবী জানান, বিকাল পাঁচটার দিকে ঐ ছাত্রলীগ কর্মী খেয়াপার্কে কফিশপে খেতে এসে বারবার অর্ডার দেয় এবং পরে তা ফিরিয়ে দেয়। এভাবে কয়েকবার করার পর টুকুর ভাতিজা আখিরুল বারবার খাবার আনতে অস্বীকৃতি জানায় এবং এক প্রকার বাক-বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। পরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের একটি দল কফিশপে প্রবেশ করে ভাঙচুর করে।

পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির এস আই এরশাদ হোসেন।



মন্তব্য চালু নেই