যৌন পেশায় অনীহা : স্বামীসহ দু’যুবক মিলে কিশোরীকে ধর্ষণ

রাজশাহী: যৌন ব্যবসায় নামতে না চাওয়ায় স্বামী ও দুই সহযোগী মিলে এক কিশোরী (বধূকে) ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। গত সোমবার নির্যাতনের শিকার ওই নারীকে আজ বৃহস্পতিবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসেস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় পুলিশ কিশোরীর স্বামী যাত্রাগাছি গ্রামের ফজেল আলীর ছেলে বাবু ইসলাম (২৮) ও তার সহযোগী সাঁকোয়া গ্রামের আবদুল মান্নানকে (৩০) আটক করেছে।

নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরী জানান, তিনি অত্যন্ত গবীর ঘরের মেয়ে। অভাবী হওয়ায় দেড় মাস আগে বাবু ইসলামের সঙ্গে তার বিয়ে দেন তার বাবা। বিয়ের পর থেকেই তাকে দিয়ে যৌন ব্যবসা চালাতে চাপ সৃষ্টি করছিলেন স্বামী।

কিন্তু রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন সময় নির্যাতন করা হতো তার ওপর। এক পর্যায়ে গত সোমবার তাকে পাশের শিকদারী গ্রামের সাইফুল ইসলামের বাড়িতে নিয়ে যান তার স্বামী। সেখানে তার স্বামীসহ সাইফুল ও আব্দুল মান্নান মিলে তাকে ধর্ষণ করে।

এসময় তিনি পালানোর চেষ্টা করলে স্বামী ও ওই দুই যুবক মিলে তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়।

নির্যাতনের একপর্যায়ে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন কিশোরী বধূ। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে যাত্রাগাছী বাজারের এক গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার উন্নতি না হলে সোমবার রাতে হাসপাতালে আনা হয়। আয়নুল হক নামের এক যুবক তাকে হাসপাতালে রেখে যান।

বাগমারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল গণি বলেন, চিকিৎসকদের কাছ থেকে খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে মেয়েটির সঙ্গে কথা হয়েছে। পরিবারের লোকজনের সহযোগিতায় স্বামী তার ওপর নির্যাতন করেছেন বলে তিনি শুনেছেন।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক রাব্বি হোসেন বলেন, মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে কি না তা নিশ্চিত হতে পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এখানে নেই। তাই তাকে রাজশাহী ওসিসিতে পাঠানোর সুপারিশ করা হয়েছে। তবে মেয়েটির কোনো অভিভাবক না আসায় বুধবার পর্যন্ত বাগমারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই ছিলেন।

এদিকে, বৃহস্পতিবার উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিষয়টি তোলা হলে উপজেলা চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম সান্টু তাকে নিজ খরচে রামেক হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠান।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।



মন্তব্য চালু নেই