যে ৮ কারনে আপনি আপনার স্মার্টফোনকে দূরে রাখবেন

রাতের খাবারের টেবিলে যদি স্মার্টফোন নিয়ে আসেন, তবে আপনার জন্যে পরামর্শ নিয়ে এসেছেন ড্যানিয়েল গোলম্যান। ‘ফোসাক : দ্য হিডেন ড্রাইভার অব এক্সিলেন্স’ বইয়ে তিনি প্রযুক্তিপণ্যের প্রতি এমন নিয়ন্ত্রণহীন আসক্তির বাজে দিকগুলো তুলে এনেছেন। এখানে জেনে নিন, স্রেফ স্মার্টফোনটি আপনার কি কি ক্ষতি করে চলেছে।

১. ঘুম নষ্ট করছে : ফোনের ব্লু লাইট মস্তিষ্ককে উত্তেজিত করে। ফলে ঘুম নষ্ট হয়। কারণ ঘুমের সময় মস্তিষ্কের যাবতীয় উত্তেজনা প্রশমিত হতে হয়। ব্লু লাইটের কারণে মেলাটোনিন হরমোনের নিঃসরণ ঘটে যা তন্দ্রাভাব দূর করে দেয়।

২. অসাবধান চালক : গাড়ি চালানো অবস্থায় যারা স্মার্টফোনে নজর দেন তাদের বড় ধরনের দুর্ঘটনায় পড়া কোনো ব্যাপার না। আমেরিকার ৫০ শতাংশ ড্রাইভার গাড়ি চালানো অবস্থায় মোবাইলে টেক্সট করেন। আমেরিকায় প্রতিদিন ৯ জন মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন স্মার্টফোনের কারণে।

৩. আসক্তি : এটা নেশার মতো চেপে বসে। একে ছাড়া সময় কাটানো দুষ্কর হয়ে পড়ে। অনেক মনোবিজ্ঞানী একে ‘নমোফোবিয়া’র সঙ্গে তুলনা করেছেন। এ ক্ষেত্রে স্মার্টফোনটি হারানোর ভয় কাজ করে।

৪. বিষণ্নতা : স্মার্টফোন আপনাকে বিষণ্ন করে দিতে পারে। যারা ক্রমাগত স্মার্টফোনটি দেখেই চলেছে তারা বিষণ্নতায় আক্রান্ত হয়ে চলেছে। ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়িস-এর এক গবেষণায় বলা হয়, এ ধরনের ব্যবহারকারীরা যেকোনো সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার মাধ্যম হিসাবে স্মার্টফোনটি হাতে তুলে নেন। আবার যারা বিষণ্নতা ও মানসিক চাপে থাকা মানুষরা স্মার্টফোনকে সমাধান মনে করলে আরো বেশি মানসিক সমস্যা দেখা দিতে থাকে।

৫. অন্যান্য মুহূর্ত উপভোগ্য হয় না : ক্রমাগত স্মার্টফোনে নজরদারি করতে থাকলে জীবনের অন্যান্য সুন্দর মুহূর্তগুলো হারিয়ে যেতে থাকে। বিশেষজ্ঞ ড. ড্যানি পেনম্যান জানান, স্মার্টফোনটি দূরে রাখলেই সমাজ, সংসারের নানা আনন্দঘন মুহূর্ত উপভোগ্য হবে। মোবাইল খুব সহজেই আপনার জীবনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে। এটি অন্য কিছু থেকে সহজেই আপনাকে দূরে রাখে।

৬. শিক্ষাগ্রহণকে কঠিন করে : শিক্ষার্থীদের জন্যে স্মার্টফোন শেখার বড় মাধ্যম হতে পারে। কিন্তু লেখাপড়ায় অমনোযোগীও করে দিতে পারে যন্ত্রটি। রাইস ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় এ তথ্য দেওয়া হয়। লাইব্রেরিতে বসে পড়া অবস্থায় হেডফোন লাগানো থাকলে পড়াশোনা হবে না। এ ছাড়া পরীক্ষার প্রস্তুতি, চিন্তা, পরিকল্পনা ইত্যাদি সব কাজে বাধ সাধে ফোন।

৭. কথোপকথন নষ্ট করে : দুজন মিলে বসেছেন কিছু আলাপ করার জন্যে। কিন্তু একটা পর্যায়ে ফোনে ব্যস্ত হয়ে গেলেন। আপনাদের কথোপকথনের বারোটা বেজে গেল। পাশাপাশি দুজন বসেও যেন আলাদা দুনিয়ায় রয়েছেন।

৮. বিপর্যস্ত যৌনজীবন : দম্পতিদের যৌনজীবন নষ্ট করতে পারে স্মার্টফোন। দুজনের যদি ফোনে আসক্তি থাকে, তবে বিষয়টি সমস্যায় গড়াতে বেশি সময় লাগে না। এক পরিসংখ্যানে বলা হয়, ২০ শতাংশ তরুণ দম্পতিরা যৌনকর্মের সময় স্মার্টফোনে নজর দেন।



মন্তব্য চালু নেই