যে ১০ কথা ডিভোর্সের পর সব মহিলাকেই শুনতে হয়

সদ্য ডিভোর্স হয়েছে তৃণার। অনেক চেষ্টার পর অবশেষে বিয়ে ভেঙে বেরিয়ে এসেছেন। আট বছরের মেয়ের আইনি অভিভাবকত্বও পেয়ে গিয়েছেন। অতীত ভুলে নতুন করে শুরু করতে চাইছেন, ভাবতে চাইছেন। কিন্তু চারপাশের পরিস্থিতি বারবারই কেমন যেন পিছেন ঠেলে দিচ্ছে তাকে। আত্মীয় স্বজন, প্রতিবেশী, সহকর্মীদের অসংবেদনশীল প্রশ্ন, আচরণের কারণে বারবারই অবসাদে চলে যাচ্ছেন। গল্পটা শুধু তৃণার নয়। ডিভোর্সের পর সব মেয়েদেরই এই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। জেনে নিন এমনই ১০ কথা যা ডিভোর্সের পর সব মহিলাকেই শুনতে হয়।

ঠিক কী হয়েছিল: আত্মীয়স্বজন, সহকর্মীদের থেকে এই প্রশ্ন আপনাকে শুনতেই হবে। কী হয়েছিল, কেন আপনারা এক সঙ্গে থাকতে পারলেন না সব কিছুতারা জানতে আগ্রহী হয়ে উঠবেন। আপনার জন্য চিন্তা থেকে নয়। গসিপ করাই কিন্তু এর আসল উদ্দেশ্য।

তোমার স্বাধীনতা দেখে হিংসে হয়: অনেক বিবাহিত মানুষরা সিঙ্গলদের এই ধরনের কথা বলে থাকেন। এটার মধ্যে শ্লেষ মিশে থাকে। ডিভোর্সের কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর একাকীত্বের সঙ্গে যুঝতে হয়। সেই সময় এই ধরনের মন্তব্য যথেষ্ট অসংবেদনশীল।

ক্ষমা না করলে খুশি থাকবে না: অনেকেই আপনাকে এই কথা বলবেন। কিন্তু যদি পারিবারিক হিংসা বা প্রতারণার জন্য বিয়ে ভেঙে থাকে তাহলে ক্ষমা করা সহজ হয় না। অনেকে কোনও দিনই ক্ষমা করতে পারেন না। আর সমাজ মনে করে মেয়েদের সব সময় ক্ষমা করে দেওয়া উচিত। তাই ডিভোর্সিকে বার বার একই কথা না বলে তাকে নিজের সময় দেওয়া উচিত।

জীবন এখন অনেক কঠিন হতে চলেছে: একটা কঠিন সমস্যা থেকে সদ্য বেরিয়ে এসেছেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছেন ধীরে ধীরে। এই সময় সদ্য ডিভোর্সিকে অনেকেই বলেন, ‘‘এখন জীবন আরও কঠিন হতে চলেছে, তার থেকে বিয়েটা না ভাঙলেই পারতে।’’

ভুলটা কার ছিল: আত্মীয় স্বজন, প্রতিবেশীদের বয়স যতই হোক না কেন তাদের কাছ থেকে কখনই আপনি পরিণত আচরণ আশা করতে পারবেন না। সব সময়ই তারা জানতে চাইবেন ঠিক কার ভুল ছিল। ‘‘নিজের ভুলেই ভাঙলে নো তো বিয়েটা?’’

বাচ্চাদের মুখ চেয়েও কি এক সঙ্গে থাকা যেত না: ভারতীয় সমাজে মনে করা হয় বিয়ের পর স্বামী, সন্তানই মেয়েদের জীবনে সব কিছু।
সন্তানের জন্য অংসবেদনশীল স্বামী, অসহনীয় শ্বশিরবাড়িতেও তাকে টিকে থাকতে হবে। কিন্তু এই ধরনের বিয়ে সন্তানের জীবন আরও বিষিয়ে তোলে।

সন্তান তোমাকে বার বার অতীতের কথা মনে করিয়ে দেবে: ডিভোর্সের পর যখন অতীত থেকে বেরিয়ে আসছেন, সন্তানের দায়িত্ব একা সামলানোর জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে তুলছেন তখন এই ধরনের কথা আরও বেশি অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেয়।

আমরা দুঃখিত: এই ধরনের কথা বলে অনেকেই সমব্যথী হতে চান। কিন্তু আমার ডিভোর্সের জন্য আপনি কেন দুঃখ পাচ্ছেন? এই ধরনের কথা ঘোরাফেরা করে ডিভোর্সির মনে। এই সময় কোনও সান্ত্বনা ভাল লাগে না। বরং সত্যিই সহমর্মী হলে বোঝার চেষ্টা করাই স্বাভাবিক।

তোমার জন্য খারাপ লাগে: অসুস্থ সম্পর্কে দমবন্ধ হওয়ার থেকে বেরিয়ে আসা অনেক স্বাস্থ্যকর। কিন্তু এই সিদ্ধান্তকে, বিশেষ করে ডিভোর্সি মহিলাকে অনেকেই করুণার চোখে দেখেন। এই সব কথা বলে তাকেও নিজের প্রতি করুণা অনুভব করাতে চান।



মন্তব্য চালু নেই