যে খাবার খেলে পেটে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে

অনেকেরই খাওয়ার পর পেট ফাঁপে, ফোলে, গ্যাস হয় বা অস্বস্তি লাগে। জেনে নিন কিছু খাবারের কথা, যেগুলো সম্পর্কে একটু সচেতন হলে সহজেই মুক্তি পাওয়া যেতে পারে এই সমস্যা থেকে।

পেঁয়াজ

কাঁচা পেঁয়াজ খেলে পেট ফাঁপে বা পেটে গ্যাস হয় তা যেমন ঠিক তেমনি রান্না করা পেঁয়াজে কিন্তু সেরকম কিছু হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। তাই কাঁচা পেয়াজ খেলে যারা অসুবিধা বোধ করেন, তাদের কাঁচা পেঁয়াজ না খাওয়াই ভালো।

চিনি

কেউ কি কখনো ভেবেছেন যে চিনিতেও পেট ফাঁপতে পারে? হ্যাঁ, চিনিও অনেকের পেট ফাঁপার কারণ হতে পারে কিন্তু।

শষ্যদানা

শষ্যদানা দেয়া রুটি খেলেও পেট ফাঁপতে পারে৷ তবে সেটা তখনই হয়, যখন রুটিটি একদম তাজা, অর্থাৎ ওভেন থেকে নামিয়েই সাথে সাথে খাওয়া হয়।তবে কিছুক্ষণ পর, অর্থাৎ দু’তিন-ঘন্টা পরে খেলে আর কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

ক্রিম

কেকের ওপর একটু ক্রিম ছড়িয়ে দিলে কেকের স্বাদ বেড়ে যায় দ্বিগুণ। জার্মানরা কিন্তু এরকম লোভনীয় কেক খেতে ভীষণ পছন্দ করেন। তবে প্রোটিন আর ফ্যাট একসথে পেটে থাকতে তেমন পছন্দ করে না, ফলে অনেকের পেট ফাঁপতে পারে।

কিশমিশ

কিশমিশ শুকনো ফলের মধ্যেই পড়ে। মিষ্টি খাবারে দেয়া রান্না করা কিশমিস খেলে তেমন অসুবিধা হয় না। তবে শুধু কিশমিস খাওয়া কিন্তু কারো কারো পেটে বায়ু হওয়ার কারণ হতে পারে।

ক্রসোঁ

ফোলানো ফাঁপানো অসম্ভব মজার এই ফ্রেঞ্চ রুটিটি দেখলে অনেকেই খাওয়ার লোভ সামলাতে পারেন না। তবে খালি পেটে কফি পান করার মতো সকলাবেলা খেলে পেটে ক্রসোঁ খেলে পেটে গ্যাস বা বায়ু হতে পারে। চাঁদের আকারের এই ফ্রেঞ্চ রুটিটি জার্মনিতে অবশ্য বেশ জনপ্রিয়।

কোলা, ফান্টা

কোকা কোলা, ফান্টা – এরকম হালকা পানীয় সহজেই পেট ফুলিয়ে দিতে পারে। আসলে পানীয়তে থাকা মিষ্টিই এর প্রধান কারণ। এ সব মিষ্টি পানীয় শুধু পেটই ফাঁপায় না, সেই সাথে ওজনও বাড়ায় অনেক তড়াতাড়ি। তাই বিশেষজ্ঞরা এ সমস্ত পানীয় থেকে দূরে থাকতেই পরামর্শ দিয়েছেন।

বিভিন্ন সবজি

ক্যাপসিকাম, ব্রকলি, গাজর বা সেলারির মতো অনেক সবজি থেকেও কিন্তু পেটে গ্যাস হতে পারে। তবে তা যদি কাঁচা খাওয়া হয়। সেদ্ধ বা রান্না করা সবজি খেলে পেটে বায়ু হওয়ার সম্ভাবনা কম।

চুইংগাম

চুইংগাম চিবোনোর সময় পেটে অনেক বেশি বাতাস ঢোকে আর তা থেকেও অনেক সময় পেট ফাঁপতে পারে বা গ্যাস হতে পারে।

কফি

কফির ‘কফিইন’ অনেকেরই পেটে অস্বস্তির কারণ হয় এবং তা থেকেও পেট ফাঁপে বা ফোলে। তবে কফি পানের ঠিক আগে বা পরপরই যদি ফল খাওয়া হয়, তাহলে সামস্যা আরো বেশি হয়।

শিম বা ডাল

বিভিন্ন ধরনের ডালে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন, যা মাংসের বিকল্প হতে পারে। এমনটাই জানান জার্মানির বন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি বিশেষজ্ঞ প্রফেসার পেটার স্টেলে। ডাল, শিম বা বিচি ভালো করে সেদ্ধ হলে এবং যথেষ্ট পানি থাকলে পেটে বায়ু হয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

মিনারেল ওয়াটার

মিনারেল ওয়াটারে থাকা কার্বোনিক অ্যাসিড পান করার পর অনেকেরই পেটে বায়ু হয় এবং পেট ফোলে ও ফাঁপে। যাদের এ সমস্যা রয়েছে, তাদের মিনরেল ওয়াটার পান না করা উচিত।



মন্তব্য চালু নেই