যে কারণে রোনালদোর ওপর চটেছেন নেইমার

শনিবার স্প্যানিশ লা লিগার খেলায় কর্দোভার মুখোমুখি হয় রিয়াল মাদ্রিদ। ওই ম্যাচে নিজের স্বভাবজাত খেলাটা উপহার দিতে পারেননি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তুলনামূলক দুর্বল দলটির বিপক্ষে ৮২ মিনিট চেষ্টা করেও গোলের দেখা পাননি তিনি। এটা বোধ হয় মেনে নিতে পারছিলেন না রিয়াল মাদ্রিদের প্রাণভোমরা। নিজের ওপর ক্ষোভ জন্মায় তার!

আর সেই ক্ষোভ ঝাড়লেন প্রতিপক্ষ কর্দোভার ডিফেন্ডার ইদিমারের ওপর? ম্যাচের ৮২ মিনিটের মাথায় ইদিমারের সঙ্গে বল দখলের লড়াইয়ে মেতে ওঠেন রোনালদো। কর্দোভার ডিফেন্ডারের ট্যাকেলে কিছুটা বিব্রত ছিলেন তিনি। তাই বলে ইদিমারকে লাথি মারবেন রোনালদো?

ঘটনাটি খুব কাছে থেকে অবলোকন করেছেন ম্যাচে দায়িত্বরত রেফারি। রোনালদোকে লাল কার্ড দেখান তিনি। দলকে বিপদে রেখে নিরাপদ স্থলে (ডাগআউটে) চলে যান রোনালদো! যদিও ম্যাচের ফল রিয়ালের পক্ষেই ছিল। কর্দোভাকে ২-১ গোলে হারায় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ক্লাবটি। এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন ঘটনার জন্য ইদিমারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন রোনালদো।

বিশ্বসেরা ফুটবলারের কাছ থেকে এমন কা- কাম্য নয় কারোরই। নেইমারও তার ব্যতিক্রম নন। রোনালদোর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছেন ব্রাজিলের অধিনায়ক।

বার্সেলোনা তারকা মনে করেন, ফরোয়ার্ডদের মাথা ঠান্ডা রাখা উচিত। তাদের রুখতে সদা প্রস্তুত প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডাররা। সুতরাং ফরোয়ার্ডদের উত্তেজিত হলে চলবে না।

এ বিষয়ে নেইমারের ভাষ্য, ‘খেলোয়াড়দের আচরণ সংযত রাখা রেফারির দায়িত্ব। বিশেষ করে যখন তারা দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। মাঠের আচরণবহির্ভূত কোনো কাজ করলে তার শাস্তি পেতেই হবে। আমি মনে করি, ফুটবলের নিয়ম রক্ষার দায়িত্ব আমাদেরই। ইদিমারের সঙ্গে রোনালদো যে আচরণ করেছে তাতে আরো বড় শাস্তি হওয়া উচিত!’

তবে মাথা ঠান্ডা রাখা যে সহজ কাজ নয়, এ কথা মানতে বাধ্য হলেন নেইমারও। নিজের খেলোয়াড়ী জীবনেও নাকি এমনটা ঘটেছে। এ ছাড়া ২০০৬ সালে বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সের কিংবদন্তি জিনেদিন জিদানের ঢুসকা-ের উদাহরণ টেনে নেইমার বলেন, ‘এটা জিদানের সঙ্গে ঘটেছে। আমারও এমন অভিজ্ঞতা রয়েছে। সবসময় শতভাগ মাথা ঠান্ডা রাখা সম্ভব হয় না।’



মন্তব্য চালু নেই