যে কারণে বুড়োদের রোগ বাড়ছে তরুণদের মাঝে

সাধারণত বুড়ো বয়সে মানুষের যেসব স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দেয়, তা দেখা দিচ্ছে বিশ ও তিরিশে পা দেওয়া মানুষের মাঝে। শিরা স্ফীত হয়ে যাওয়া, হাঁটুর সংযোস্থলে ব্যথা বা আরো কিছু সমস্যা তরুণদের মাঝে দেখা দিচ্ছে।

অস্বাস্থ্যকর ভঙ্গিতে শুয়ে বা বসে থাকা এবং এলোমেলো জীবনযাপনের কারণে তরুণদের মাঝে বুড়োদের রোগ বাড়ছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ব্যাকপেইন বা অর্শ্বরোগের মতো ঘটনাও ঘটে বলে বুপার এক বিশ্লেষণে বলা হয়। এরা ২০১৫ সালে বিভিন্ন প্রাইভেট হেলথ কেয়ার থেকে ৬০ হাজার রোগীর তথ্য নিয়ে হবেষণাটি সম্পন্ন করে।

দেখা গেছে, এ ধরনের সমস্যায় বয়স্ক মানুষকে যে চিকিৎসা দেওয়া হয়, একই চিকিৎসা দেওয়া হয় তরুণদের। এদের বয়স ২৫-৪৫ বছরের মধ্যে। সাধারণ অফিসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকা এবং প্রযুক্তি যন্ত্রে ব্যস্ত হওয়ার কারণে এমন ঘটে থাকে।

বুপা মেডিক্যাল ডিরেক্টর ড. স্টিভ বলেন, অর্শ্বরোগ বা স্ফীত শিরার চিকিৎসায় যা করতে হয়, তরুণরা সে চিকিৎসা নিতে রাজি নন। দেখা গেছে, যারা তাদের স্মার্টফোন বা ট্যাব নিয়ে দারুণ ব্যস্ত থাকেন বা স্ট্রিমিং মুভিতে সময় কাটান তাদের মাঝেই এসব সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। ৩৬-৪৫ বছল বয়সীদের মধ্যে যে চিকিৎসা সবচেয়ে বেশি দেওয়া হয়েছে তা হলো আরথ্রোস্কোপিক নি অপারেশন। এটি হাঁটুর সমস্যা দেখার এক পদ্ধতি যার মাধ্যমে ছোট একটি ক্যামেরা প্রবেশ করানো হয়। ১৬-২৫ বছর বয়সীদের মধ্য এটা একটা বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। তেমনি ব্যাক পেইন দূর করতে মেরুদণ্ডের গোড়ায় এডিডুরাল ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করা হয়। ওই বয়সীদের মধ্যে এ সমস্যা শীর্ষ পাঁচের মধ্যে রয়েছে।

বুপার গবেষণায় দেখা গেছে, কাজ ও মনের চাপ সংক্রান্ত সমস্যাও তরুণদের মধ্যে বেড়েছে। দীর্ঘ সময় কাজ করার কারণে এমনটা হচ্ছে। কাজের চাপ ও ব্যস্ত কর্মসূচি এর জন্য দায়ী।

মাথা ঝুঁকিয়ে একমনে মোবাইল বা অন্য প্রযুক্তি যন্ত্রের দিকে নজর দিলে পিঠে ও ঘাড়ে ব্যথার সমস্যা স্থায়ী হবে। ১৬-২৪ বছর বয়সীদের ৪৫ শতাংশ এসব সমস্যায় জর্জরিত।

আরেক গবেষক টিম হাচফুল জানান, তিরিশের নিচে যাদের বয়স, তাদের মাঝে বয়স্ক মানুষের রোগ দিন দিন বেড়েই চলেছে। মোবাইল বা ল্যাপচপ নিয়ে বসার পর মানুষ তার অঙ্গভঙ্গিতে দৃষ্টি দেন না। ভুলভাবে বসার কারণে তাদের নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

বুপার গবেষকরা আরো জানান, পাইলস, আইবিএস (ইরিটেবল বাউয়েল সিনড্রোম) এবং পাকস্থলীর আলসারের মতো সমস্যা ২০১৪ সাল থেকে কম বয়সীদের মধ্যে ২৪০ গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট



মন্তব্য চালু নেই