যে কারণে ফেলে দেবেন না ধনে পাতার ফুল

ধনে পাতা বাছার সময় আপনি কি এর ফুলগুলো ফেলে দেন? তাহলে অন্য অনেক মানুষের মত আপনিও ভুল করছেন। ধনে পাতার ফুলের স্বাস্থ্য উপকারিতার কথা অনেকেই জানেন না। ধনে পাতার অনেক সৌন্দর্য উপকারিতাও আছে। এর বীজেরও আছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। যে কারণে ধনে পাতার ফুল ফেলে দেয়া ঠিক নয় সে বিষয়ে জেনে নিই চলুন।

ধনে পাতার ফুল ভক্ষণযোগ্য। ধনে পাতার ফুলের শক্তিশালী ভেষজ গন্ধ আছে। বিভিন্ন খাবার তৈরিতে ধনে পাতার সাথে এর ফুল ও ব্যবহার করা যায়। মসলাদ্বার খাবারে শীতলতা দিতে পারে ধনে পাতার ফুল। এই ফুল থেকে উৎপন্ন বীজ ও পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ যা আপনাকে স্বাস্থ্যবান রাখতে সাহায্য করে। ধনে পাতার বীজ বিভিন্ন খাবারে মসলা হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

ধনে পাতার ফুল মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এ সমৃদ্ধ। ধনে পাতার মতোই এর ফুলেও ডায়াটারি ফাইবার, ভিটামিন, এবং খনিজ উপাদান যেমন- ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম ও পটাসিয়াম ও থাকে। এছাড়াও এর ভিটামিন কে এর উপস্থিতি রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে এবং হৃদপিণ্ডকেও সুরক্ষা দেয়। তারা হজমে সাহায্য করে এবং প্রদাহ প্রতিরোধ করে। যখন ধনেপাতা এর ফুল সহ খাওয়া হয় তখন তা রক্তের চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই এটি ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য উপকারী।

ক্ষুধামন্দা দূর করতে সাহায্য করে ধনেপাতা। অলেইক এসিড, লিনোলেইক এসিড, স্টিয়ারিক এসিড, পালমিটিক এসিড এবং এসকরবিক এসিড সমৃদ্ধ তাজা ধনেপাতা রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে খুবই কার্যকরী। নিজে কোলেস্টেরল শুন্য এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ডায়াটারি ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এবং এইচডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ধনে পাতা।

ধমনীর ভেতরের প্রাচীরে কোলেস্টেরল জমতে বাঁধা দিয়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। ধনেপাতা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টিইনফেকশিয়াস উপাদানে সমৃদ্ধ। এছাড়াও আয়রন ও ভিটামিন সি এর উপস্থিতির জন্য ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী হতে সাহায্য করে। স্মল পক্সের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে ধনে পাতা।

সুগন্ধের জন্য ধনেপাতা ও এর ফুল কুঁচি করে কেটে নিয়ে রান্নার শেষ পর্যায়ে যোগ করুন। কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এটি অ্যালার্জির সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। যদিও তা খুবই বিরল। সাধারণত এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।



মন্তব্য চালু নেই