যে কারণে নাস্তা করবেন ঘুম ভাঙার ১ ঘণ্টার মাঝেই!

পৃথিবীতে এমন মানুষের সংখ্যাটা খুব একটা কম নয় যারা কিনা সকালের নাশতাকে দুপুরের খাবারের সাথে সেরে ফেলেন। অনেকে তড়িঘড়ি করে অফিসে পৌঁছানোর পর, আবার অনেকে তারও অনেকটা পরে সেরে থাকেন সকালের নাশতা। কেউ কেউ তো সেটাকে একেবারে বাদই দিয়ে দেন নিজেদের কর্মতালিকা থেকে। কিন্তু আপনি কি জানেন , ঘুম থেকে ওঠার এক ঘন্টার ভেতরে নাশতা সেরে ফেলার অভ্যাসটি কী দারুণ সব উপকারিতা নিয়ে আসবে আপনার শরীরের জন্যে? সত্যিই তাই, ঘুম থেকে ওঠার এক ঘন্টার ভেতরে নাশতা সেরে ফেলাটা স্বাস্থ্যের জন্যে বেশ ইতিবাচক ও সহায়ক। কী করে? চলুন জেনে আসি।

১. রক্তের সুগার ও ইনসুলিনকে নিয়ন্ত্রণ করে

ঘুম থেকে ওঠার এক ঘন্টার ভেতরে খাবার গ্রহন করলে সেটা আপনার শরীরের ইনসুলিন ও রক্তের সুগারকে নিয়ন্ত্রণের ভেতরে রাখতে সাহায্য করে। ফলে প্রয়োজনীয় সুগার আর ইনসুলিন নিয়ে পুরোপুরি সুস্থ থাকে শরীর। সেইসাথে এই সময় মতন করে ফেলা নাশতা বাড়িয়ে দেয় পাকস্থলীর খাবার হজম করার ক্ষমতাকেও! সাধারণত রাতের লম্বা ঘুমের সময় শরীরের হজম করার ক্ষমতা অনেকটা ধীর হয়ে যায়। ফলে সকালে উঠেই যখন খাবার খেয়ে নেওয়া হয় নিজের পুরোটা শক্তি দিয়ে খাবার হজম করার কাজ শুরু করে শরীর।

২. খাবার বাছাই করতে সাহায্য করে

ভাবুন তো এমন একটি দিনের কথা যেদিন কিনা সকালের নাশতা না করে দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলেন আপনি। কী খেয়েছিলেন সেদিন দুপুরে? একটা বার্গার কিংবা কোন ফাস্টফুড আইটেম? তবে যেটাই খেয়ে থাকুন না কেন, নিশ্চয় কোন স্বাস্থ্যসম্মত খাবার নয়? আর হ্যাঁ! এই ব্যাপারটি কিন্তু কেবল আপনার সাথেই নয়। ঘটে আরো অনেকের সাথেই। কারণ, সকালে নাশতা না খাওয়ার ফলে ক্ষুধাবোধ মানুষের ভেতরকার খাবার বাছাই করার ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয় এবং তখন ভুলভাল ও অতিরিক্ত ক্যালোরিপূর্ণ খাবার খেয়ে ফেলা হয়।

৩. মন ও মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখে

গবেষণায় পাওয়া গিয়েছে যে, সকালে নাশতা দেরী করে করা বা না করা মানুষের মনের ওপর প্রভাব ফেলে। খুব স্বাভাবিক! শরীর খারাপ থাকলে মন তো খারাপ থাকবেই। সেই সাথে মস্তিষ্কের কার্যক্রম, এর স্মৃতিশক্তি ও অন্যান্য ব্যাপারগুলো ধীর- স্থির হয়ে যায় ও কম কাজ করে সকালে নাশতা ঘুম থেকে ওঠার এক ঘন্টার ভেতরে না করলে।



মন্তব্য চালু নেই