যে কারণে আটকে গেল ভালোবাসার ‘বিয়ে’!

রোমান্টিক কোন সিনেমার গল্পের মতই সুরেশ কুমার ও সারাহর কাছে আসার গল্প। তারা একটি জাহাজে কর্মরত অবস্থায় একে অপরের প্রেমে পড়ে যায়। তবে তাদের মাঝে সংস্কৃতির পার্থক্য রয়েছে। দেশের বর্ডারও তাদের মাঝের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

২৮ বছর বয়সী সুরেশ কুমার তামিল নাড়ুর নাগরিক এবং সারাহ বেলজিয়ানের নাগরিক। ইতালিতে একটি জাহাজে কাজ করতে যেয়ে তাদের প্রথম দেখার পর থেকে তারা একে অপরকে ভালোবেসে ফেলেন। তারা তাদের পরিবারকে এই বিয়ের জন্য রাজি করিয়ে ফেলেন। কিন্তু তারা তাদের বিয়ের রেজিস্ট্রি করতে পারেন নি। কারণ সারাহ সে দেশের নাগরিক নয়।

নামাক্কালের কাছাকাছি কল্লি পাহাড়ের নিকটে সুরেশ একটি শিপিং কোম্পানিতে যোগদান করেন। তিনি সেখানে শেফ নিসেবে কর্মরত রয়েছেন। এর পূর্বে তিনি হোটেল ম্যানেজমেন্ট কোর্স সম্পন্ন করেছেন।

সুরেশ কুমার জানান, “আমরা আমাদের পরিবারকে বিয়ের জন্য রাজি করাতে পেরেছি। কিন্তু নামাক্কালে আমাদের বিয়ে নিবন্ধন করা অনেক কষ্টসাধ্য। কর্মকর্তারা বলছেন তাদের আইনের নিয়মানুযায়ী আমাদের বিবাহের রেজিস্ট্রি করানো সম্ভব নয়। আমি ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ”।

তিনি আরও জানান, তাদের বিয়ের রেজিস্ট্রি এর পড়ে তার স্ত্রীর ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি পাবে। কারণ খুব শীঘ্রই তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। তিনি কর্মকর্তাদের বিনীতভাবে অনুরোধ করেছেন যেন তাদের বিয়ের নিবন্ধন করানো হয়। আর তা নাহলে তার স্ত্রীর দেশে ফিরে যেতে হবে।

সারাহ ভারতীয় সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ দ্বারা মুগ্ধ এবং তার মত একজন মান প্রতিশ্রুতিবদ্ধ মানুষকে তিনি বিয়ে করতে চেয়েছিলেন বলে সুরেশ জানান।
তারা গত সোমবার মন্দিরে দুই পরিবারের সামনে বিয়ে করেন। কিন্তু, রেজিস্ট্রি না হবার কারণে এই বিয়ে সরকারীভাবে নিবন্ধিত হয়নি।–সূত্র: এনডিটিভি।



মন্তব্য চালু নেই