যে ইতিহাস পাল্টে দিল মাশরাফির দল

সেই ২০০২ সালে শুরু। ওই বছর ৩ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকা নামক ক্রিকেটে মহাশক্তিধর এক দেশের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। ম্যাচটি ছিল ওয়ানডে। ফল অনুমতিই ছিল। হেরেছে বাংলাদেশ। এরপর গত ১৩ বছরে এই দুই দলের মধ্যে মোট ১৫টি ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। যার মধ্যে একবারই জয়ের মুখ দেখেছে বাংলাদেশ; ২০০৭ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে। বাকি ১৪ ম্যাচেই জয় দেখেছে দক্ষিণ আফ্রিকানরা।

তবে জয়-পরাজয়ের এই হিসেব-নিকাশের বাইরে এতদিন বাংলাদেশের জন্য নীরব দুঃখ হয়ে ছিল আরেকটি বিষয়। তা হল, প্রথম ব্যাট করতে নামলে দক্ষিণ আফ্রিকানদের কখনোই অলআউট করতে না পারার ব্যর্থতা। রবিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সেই ব্যর্থতা ঘুঁচে গেল বাংলাদেশী বোলারদের ছন্দময় বোলিংয়ে।

এই প্রথম কোনো ওয়ানডে ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের বিপক্ষে অলআউট হতে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ৩ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমেছিল অতিথি দক্ষিণ আফ্রিকানরা। মুস্তাফিজ-নাসির-রুবেল-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর মাশরাফি বিন মর্তুজার বোলিং তোপ সামলাতে না পেরে ৪৬ ওভারেই মাত্র ১৬২ রানে গুটিয়ে গিয়েছে অতিথিদের ব্যাটিং ইনিংস।

এর আগে অনুষ্ঠিত ১৫টি ম্যাচের ৬টিতে আগে ব্যাটিং করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এর মধ্যে ২০০২ সালের প্রথম ম্যাচটিতে দক্ষিণ আফ্রিকানদের ৮ উইকেট ফেলতে পেরেছিল বাংলাদেশ। এরপর ২০০৩ সালের ১৪ এপ্রিল ৩ উইকেট, একই বছর ১৭ এপ্রিল ৫ উইকেট, ২০০৮ সালের ৭ নভেম্বর ৮ উইকেট, একই বছর ৯ নভেম্বর ৪ উইকেট এবং ২০১১ সালের বিশ্বকাপে ৮ উইকেট ফেলতে পেরেছিল বাংলাদেশের বোলাররা। কে জানে এই কারণেই কীনা বাংলাদেশের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে দক্ষিণ আফ্রিকানরা। তবে রবিবারের পর থেকে টাইগারদের বিপক্ষে আগে ব্যাটিং করতে গেলেও মিরপুরের এই দিনটিকে মনে রাখবে তারা।

বলে রাখা ভাল, গত ২ বছরে এ নিয়ে মোট ৮ বার ২০০ রানের নিচে অলআউট হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এর সবগুলোই আবার এশিয়ান কোনো দলের বিপক্ষেই।



মন্তব্য চালু নেই