যে আচরণে সঙ্গীর অনীহা বাড়ে

দাম্পত্য বলুন বা প্রেম বলুন, সুখী হতে নারী-পুরুষ উভয়ের ভূমিকা থাকা চাই। তবে এ কথাও সত্য, মায়া-ভালোবাসা আর দায়ীত্বশিলতা দিয়ে নারী যেভাবে তার সংসার আগলে রাখতে পারে, পুরুষ ততটা পারে না। তাই সুখের সংসার টিকিয়ে রাখতে নারীর আচরণের গুরুত্ব অপরিহার্য। কিন্তু অনেক সময় তার ব্যতিক্রম দেখা যায়। নারীর কিছু আচরণে সঙ্গীর অনীহা বেড়ে চলে দিনের পর দিন। আসুন জেনে নেয়া যাক তেমন কিছু আচরণ সম্পর্কে-

কর্কশ কণ্ঠে কথা বলা

বেশির ভাগ পুরুষ নারীর সুমিষ্ট কণ্ঠ শুনতে পছন্দ করেন। নারীর মুখ থেকে অকথ্য ও নিরস শব্দ শুনতে চায় না। পরিমিত মার্জিত ও সাবলীল ভাষায় যে নারীরা কথা বলে তাদের গ্রহণযোগ্যতা সর্বত্র। পক্ষান্তরে কর্কশ কণ্ঠী নারীরা বরাবরই উপেক্ষিত হয়।

সবার সঙ্গে খারাপ আচরণ

পরিবারের ভালোমন্দ দেখভাল করার বড় দায়িত্ব পালন করেন নারী। মানুষের সঙ্গে রূঢ় আচরণ কখনোই কাম্য নয়। কেউ আপনাকে স্বেচ্ছায় কোনো কিছু শেয়ার বা কেয়ার করতে চাইবে না। পরিবারের কারো ভুল সিন্ধান্তে মেজাজ খারাপ না করে অত্যন্ত বিনয় ও আন্তরিকতার সঙ্গে বুঝিয়ে বলুন।

উগ্র সাজ-পোশাক

নারীর অপরুপ সৌন্দর্য প্রকাশ পায় তার সাজ-পোশাকে। আর তাই সেটি হওয়া চাই রুচিশীল ও পরিশীলিত। সমাজে কিছু নারী অনেক সময় বেমানান ও কুরুচিপূর্ণ পোশাক পরেন। যা তার সৌন্দর্য ও নারীত্ব উভয়ই ধ্বংস করে। এমন হলে সঙ্গীর চোখেও তা বেমানান হয়।

পরকীয়া করা

বর্তমান সময়ের এক জটিল ও কঠিন সমস্যা হচ্ছে বিবাহিত নারীদের পরকীয়া। এতে শান্তি আনে না। শুধু মনের অস্থিরতা ও অশান্তিই বৃদ্ধি করে। দাম্পত্য জীবন বা প্রেম জীবনকে কলুষিত করে। পাশাপশি অন্য একটা জীবন ও পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়।

অহংকার ও দাম্ভিকতা

শুধু নারী নয় এই স্বভাব পুরুষদের মধ্যেও দেখা যায় । তবে পুরুষদের চেয়ে নারীর মধ্যে বেশি লক্ষ্য করা যায়। রুপ-সৌন্দর্য, ঐশ্বর্য, অহংকার এবং দাম্ভিকতা নারীর নারীত্ব বোধ ও সৌন্দর্যকে নষ্ট করে।

যৌন সম্পর্কে অনীহা

নারী-পুরুষের মধ্যে পারস্পরিক প্রেম-ভালোবাসার চূড়ান্ত রুপ বিয়ে। এই সম্পর্ক পূর্ণতা পায় মধুর যৌন সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে। অনেক নারী এই সম্পর্ক স্থাপন করতে অস্বীকৃতি জানায়। আবার কেউ কেউ সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও নানা কারণে পিছিয়ে থাকে। যা সম্পর্ককে ভঙ্গুর করে তোলে।

পুরুষালী স্বভাব

নারী ও পুরুষদের মধ্যে পৃথক শারীরিক গঠন, বৈশিষ্ট্য, সতন্ত্র সত্ত্বা বিদ্যমান। স্ব স্ব অবস্থান থেকে তা রক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। আমাদের সমাজে অনেক ছেলেকে দেখা যায় মেয়ের মতো আচরণ করছে। কোনো নারী যখন পরুষের মতো কিম্বা পুরুষালী স্বভাব প্রদর্শন করে, তখন তাকেও অশোভনীয় লাগে।

সব মিলিয়ে নারীর সমস্ত সৌন্দর্য কোমলতায়। আর এই কোমলতায় যদি খরা দেখা দেয় তাহলে নারী বৈশিষ্ট হারিয়ে যায়। এতে সঙ্গীর মনেও বইতে থাকে অশান্তির ঝড়। ধীরে ধীরে তৈরি হয় অনীহা।



মন্তব্য চালু নেই