যে অসুখগুলো বদলে দিয়েছে ইতিহাস

মানুষের অসুখ-বিসুখ হলে কতকিছুই না হয়! আত্মীয়-স্বজনদের ভীড়, পরিবারের মানুষের ভোগান্তি, নিজের কষ্ট, এত এত অষুধ গেলা- কত্তকিছু। তবে এমনটা কি কখনো শুনেছেন যে একজন মানুষের অসুখ পুরো ইতিহাসকে পাল্টে দিয়েছে? তাও আবার কেবল যুদ্ধের ইতিহাস নয়, এর ভেতরে রয়েছে সাহিত্য, বিজ্ঞানসহ আরো অনেককিছুর কথা। চলুন দেখে আসি তাহলে এমনভাবে অসুখে ভুগে ইতিহাস সৃষ্টি করা মানুষগুলোকে।

১. মার্গারেট মিটসেল

আমেরিকার সৃষ্টির ইতিহাসকে নিয়ে মার্গারেটের লেখা গন উইথ দ্যা উইন্ড নামের অনন্য এই বইটি যুগ যুগ ধরে মানুষের মুখে ঐতিহাসিক এক নিদর্শন হিসেবে উচ্চারিত হয়ে এসেছে। তবে আপনি কি জানেন যে, আদতে এই বিখ্যাত লেখকের মাথায় মোটেও লেখালেখির কোন শখ তো দূরে থাক, চিন্তাও ছিল না। পুরো ব্যাপারটা ঘটে যখন হঠাত্ করে গোড়ালির ব্যথায় কাতর হয়ে বিছানায় পড়ে যান মার্গারেট। সেসময় স্ত্রীর সময়গুলো যাতে ভালো কাটে সে খেয়াল রেখে মার্গারেটের স্বামী তাকে এনে দিতে থাকেন একের পর এক বই। একটা সময় বই আনতে আনতে মজা করেই স্ত্রীকে বলেন তিনি- এর পরের বইটা নিজেই লিখে নাও না! আর সেখান থেকেই ভূত চাপল মাথায়। একটা টাইপরাইটার এনে বিছানায় বসে বসে লিখতে শুরু করেন মার্গারেট। আর ফলাফল? ইতিহাস সৃষ্টিকারী এই বই!

২. এডলফ হিটলার

একটু অন্যরকম আর নতুন শোনালেও সত্যি যে, একই সাথে বিখ্যাত এবং কুখ্যাত স্বৈরশাসক হিটলারের বায়ুদূষণের সমস্যা ছিল। আর পরিমাণটা এতটাই বেশি ছিল যে, বাধ্য হয়ে চিকিত্সকের শরণাপন্ন হন তিনি আর ডা. মোরেল তাকে একটি ঔষধ সেবন করতে দেন। যেটার ভেতরে একই সাথে ছিল বেলাডোনা ও স্ট্রিকনিন নামক দুটি উপাদান। বেলাডোনা হচ্ছে এমন একটি বিষাক্ত উপাদান যেটি মানুষের ভেতরে উত্তেজনা, দ্বিধা আর হ্যালুসিনেশন তৈরি করে। অন্যদিকে স্ট্রিকনিন ভয়, অস্বস্তিসহ নেতিবাচক বেশকিছু অনুভূতি। হিসেব মতে দিনে প্রায় ২০ টির উপরে ঔষধ সেবন করতেন হিটলার। আর এই ঔষধের কারণেই জীবনের শেষের দিকে অনেকগুলো সিদ্ধান্ত ও কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন হিটলার এমনটাই মনে করেন অনেকে। যার ফলে পাল্টে গিয়েছে ইতিহাসের ছক অনেকটাই!

৩. জন এফ কেনেডি

জন এফ কেনেডির মৃত্যুটাকে ইতিহাস মনে রেখেছে। কিন্তু আপনার কি মনে আছে আমেরিকার এই বিখ্যাত প্রেসিডেন্টের মৃত্যু হয়েছিল কীভাবে? বুলেটের গুলির আঘাতে। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি যে পরপর তিনটা গুলি লাগার পরেও বাঁকা হয়ে নিজেকে বাঁচাতে পারেননি এই রাষ্ট্রপতি। কেন? তার পেছনেও রয়েছে অসুখ। অতিরিক্ত নারী আসক্তির কারণে কুঁচকিতে সমস্যা দেখা যায় কেনেডির। তাই চিকিত্সকেদের পরামর্শ অনুসারে একটি ব্রেস পরিধান করতে শুরু করেন তিনি। চিকিত্সকদের মতে, ঐ ব্রেস না থাকলে হয়তো প্রথম গুলিটা খাওয়ার পরেও বেঁচে থাকতেন কেনেডি।



মন্তব্য চালু নেই