যেভাবে গ্রেপ্তার হলেন শফিক রেহমান

জেষ্ঠ্য সাংবাদিক শফিক রেহমানকে রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনর নিজ বাসা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার বর্ণনা দিয়েছেন তাঁর বাসার তত্ত্বাবধানকারী আবদুল মতিন মোল্লা।

আবদুল মতিন মোল্লা জানান, সকাল ছয়টার দিকে বাসার মূল গেটে প্রথমে দুজন ধাক্কা দেন। তারপর আরেকজন আসেন। তাঁরা বেসরকারি একটি চ্যানেল থেকে এসেছেন বলে জানান। তাঁরা বলেন, ওই টিভিতে শফিক রেহমানের অনুষ্ঠান আছে। তাঁকে নিয়ে যেতে এসেছেন।

কেয়ারটেকার বাসার পেছনে তিনতলা ভবনের নিচতলায় তাঁদের বসান। তিনতলায় থাকা শফিক রেহমানকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি তাঁদের নাশতা দিতে বলেন। তাঁরা তিনজন নাশতা খান। শফিক রেহমানের নামতে দেরি হলে সকাল আটটার দিকে তাঁরা বাবুর্চি আলীকে একটি ভিজিটিং কার্ড দিয়ে ওপরে যেতে বলেন। আলী উঠতে শুরু করলে ওই তিনজনও তাঁর পেছনে পেছনে দোতলা পর্যন্ত উঠে যান। এ সময় শফিক রেহমান নিচে নামেন।

আবদুল মতিন বলেন, শফিক রেহমান দোতলায় নামার পর ওই তিনজন ডিবি থেকে এসেছেন বলে জানিয়ে তাঁকে নিচে নামিয়ে আনেন। বাবুর্চি আলী ও তিনি বাধা দিতে গেলে তাঁরা ডিবি পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘তুই আসবি না’।

বাসার সামনে দাঁড়ানো মাইক্রোবাসে করে সকাল আটটার দিকে শফিক রেহমানকে নিয়ে যাওয়া হয়। ইস্কাটন গার্ডেন রোডের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরিচ্ছন্নতাকর্মী বলেন, আজ শনিবার ভোর পাঁচটা থেকে শফিক রেহমানের বাড়ির সামনে মাইক্রোবাসটি অবস্থান নেয়। ছয়টার দিকে তিন ব্যক্তিকে ওই বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখা যায়।

আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ডিবি কার্যালয়ের পরিচয় দিয়ে শফিক রেহমানের স্ত্রী তালেয়া রেহমানের কাছে ফোন যায়। তালেয়া রহমান গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, শফিক রেহমানের জন্য নাশতা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ ডিবি কার্যালয় থেকে চেয়ে পাঠানো হয়েছে। সেগুলো পাঠানো হয়েছে। তিনি কোলেস্টরেল ও ডায়বেটিসে আক্রান্ত। দুপুর ১২টার দিকে তালেয়া রেহমান মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে যান।

তালেয়া রেহমান বলেন, শফিক রেহমানের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব রয়েছে। তাঁকে ডিবি গ্রেপ্তার করার বিষয়টি ব্রিটিশ দূতাবাসে জানানো হয়েছে। তারা এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছে বলে জানিয়েছে।

শফিক রেহমানের গাড়িচালক নাজিম উদ্দিন বলেন, ১৩ এপ্রিল সন্ধ্যার দিকে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের কর্মী পরিচয় দিয়ে দুজন ব্যক্তি এই বাড়িতে এসেছিলেন।

সূত্র: প্রথম আলো।



মন্তব্য চালু নেই