স্মারকলিপি প্রদান

যুবলীগ নেতাকে ফেরতের দাবিতে মানববন্ধন ও সাংবাদিক সম্মেলন

টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান আলহাজ্জ জাফর আহম্মদের প্রথম পুত্র উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হাজী মোস্তাক আহম্মদকে অক্ষত অবস্থায় ফেরত দেওয়ার দাবীতে গত কাল রোববার সকালে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতে মানববন্দন, সাংবাদিক সম্মেলন ও প্রধান মন্ত্রির স্বারাষ্ট্র মন্ত্রির বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করা হয়েছে।

১৬ আগষ্ট সকালে টেকনাফ পৌরবাজার বাসষ্টেশন চত্বরে ঘুড়ি ঘুড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে থেকে হাজার হাজার শোকাহত লোকজন আসতে শুরু করে। সকাল ১১ টায় হাজার হাজার জনতা মানব বন্ধনে অংশ নেয়। যা পৌর বাজার ঝর্ণা চত্বর হয়ে উপজেলা উপজেলা পরিষদ পর্যন্ত কানায় কানায় ভর্তি হয়ে পড়ে।

এতে আবাল, বৃদ্ধ, বনিতা, শিশু, কিশোর হতে আরম্ব করে সরকার দলীয় উপজেলা পর্যায়ের শীর্ষ স্থানীয় নেতা কর্মি সংবাদিক, বুদ্ধিজীবি, শ্রমিক, মেহনতি মানুষ, হাজার হাজার মহিলা ও সর্বস্তরের লোকজন অংশ নেয়। সবাইয়ের একটি দাবি হাজী মোস্তাকে অক্ষত অবস্থায় ফেরত চাই। মানববন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদান অনুষ্টানে উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও হাজী মোস্তাক আহম্মদের মুক্তি পরিষদের সভাপতি জহির হোছন এম,এ এর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টেকনাফ উপজেরা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্জ মোঃ শফিক মিয়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও হ্নীলা ইউনিয়ন আওয়য়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এইচ,কে আনোয়ার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মৌঃ রফিক উদ্দিন, জেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আবুল কালাম, কাউন্সিলর আবু হারেছ, হাজী মোস্তাকের মাতা আমেনা বেগম, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি কাউন্সিলর একরামুল হক, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি জাবেদ ইকবাল চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক মোঃ আলম বাহাদুর, সাবরাং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহেদ হোছন, হামজালাল মেম্বার, নুরুল ইসলাম কালু মেম্বার, পৌর যুবলীগের সভাপতি মনজুরুল করিম সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক অং চৌধুরী মারমা, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সরওয়ার আলম সহ আওয়ামীলীগের উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের অঙ্গসংগঠনের নেতৃবন্দ।

মানব বন্ধন শেষে হাজী মোস্তাকে অক্ষত অবস্থায় ফেরৎ প্রদানের জন্য প্রধান অতিথির নেতৃত্বে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নিবার্হী অফিসার ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহিদ ইকবালের নিকট স্মারক লিপি প্রদান করা হয়। মানব বন্ধনের পূর্বে হাজী মোস্তাকে পৈত্রিক বাসভবনে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হাজী মোস্তাকের সদ্য বিবাহিত স্ত্রী জয়নাব রাজিয়া শিমু, উপস্থিত ছিলেন তার গর্ভাধারনী মা আমেনা বেগম, মা হামিদা খাতুন, তার স্নেহের চাচা জালাল আহম্মদ সহ পরিবারের সকল সদস্যবৃন্দ। সাংবাদিক সম্মেলনে অশ্রু নয়নে তার স্ত্রী বলেন আমার স্বামী একজন নিরাপরাধ ব্যক্তি। আমার স্বামী কখনও সন্ত্রাসী, ইয়াবা ব্যবসায়ী, মানবপাচারকারী ও চাদাঁবাজ ছিলনা। এমনকি কারও সাথে কোন দন্দ¦নিয়ে ঝগড়া হয়নি। আসন্ন ইউপি নির্বাচনে অংশ নেওয়া জন্য বিভিন্ন স্থানে জন সংযোগ, প্রচারনা চালিয়ে আসছিল।

এতে জনগনের ব্যাপক সাড়া ও জনসর্মথন দেখে ও আমার শ্বাশুরের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের প্রতিপক্ষরা জনপ্রিয়তার ঈর্ষাম্বিত হয়ে তাকে গত ১১/৮/১৫ রাত আনুমান ৮ ঘটিকার সময় গত ১৫ আগষ্টের জাতীয় শোক দিবস পালনের বিষয় নিয়ে যুবলীগ, ছাত্রলীগদের সাথে আলোচনার প্রস্তুতি কালে সাদা পোষাকধারী কিছু অস্ত্রধারী লোক নিজেরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোক পরিচয় দিয়ে দুটি মাইক্রোবাস যোগে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। অদ্যবদি পর্যন্ত তার কোন খোজঁ মেলেনি। আমি এবং আমার পরিবারের সবাই অক্ষত অবস্থায় হাজী মোস্তাককে ফেরত চাই। দু-মা, চাচা ও পরিবারের সকল সদস্যদের একটিই দাবি হাজী মোস্তাকে অক্ষত অবস্থায় ফেরৎ চাই।



মন্তব্য চালু নেই