যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তে হচ্ছে নতুন আইন

মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে নতুন আইন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত হিসেবে ছাত্র শিবিরের রাজনীতি বন্ধের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ সব কথা বলেন।

বিচার বিভাগের স্বাধীনতার অঙ্গীকার থেকে একটুও সরবে না সরকার, আর স্বচ্ছভাবেই মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এখন দাবি উঠেছে, দণ্ডিতদের সম্পত্তি নিয়ে সরকারের করণীয় বিষয়ে।

আনিসুল হক বলেন, সম্পত্তির বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা গ্রহণের চিন্তা-ভাবনা করছি। খুব দ্রুততার সঙ্গে করা হবে বা বিলম্ব হবে তা বলছি না, আমরা চাইবো তাড়াতাড়ি করার। ‘জনগণের দাবি’ পূরণে যে পদক্ষেপই নেওয়া হোক- তা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হবে।

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, আইসিটি (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল) আইনের মধ্যে একটি সুযোগ করা যেতে পারে বা নতুন আইন করা যেতে পারে।

আইনটি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্যই করা হচ্ছে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে আনিসুল হক বলেন, আমি বাজেয়াপ্ত করার কথা বলিনি, বাজেয়াপ্ত করা হবে কি না- তা কোর্ট নির্ধারণ করবে।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে সর্বোচ্চ আদালত সম্পর্কে মন্তব্যের দায়ে শাস্তি পাওয়া সরকারের দুই মন্ত্রীর মন্ত্রিত্ব থাকবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, তাদের পদত্যাগ বা মন্ত্রীত্ব হারানোর কিছু নেই।

আইনমন্ত্রী বলেন, আদালতগুলোতে মামলাজট কমাতে নতুন বিচারক নিয়োগের পাশাপাশি কিছু ফৌজদারি অপরাধ আদালতের বাইরে যাতে নিষ্পত্তি করা যায় সেজন্য ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই